যানজটমুক্ত করতে ও চলাচলের সুবিধার্থে দুই লেনের রাস্তা করা হয় চার লেনে। প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলাতিতে দেখা দেয় জনভোগান্তির। এ ভোগান্তি একেবারেই নাজেহাল করে দিয়েছে। সবচেয়ে বিপাকে জরুরী সেবার গাড়ী, শিক্ষার্থী, কর্মীজীবি ও ব্যবসায়ীরা। যানজটের জনভোগান্তিতে তীব্র ক্ষোভ দেয়া চলাচলকারীদের। যানজটের ভোগান্তি নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের। রাস্তাটি টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের ধনবাড়ী বাস ষ্ট্যান্ড। এদিকে, সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর চিত্র পাল্টে গেছে ধনবাড়ী বাস ষ্টান্ডের। বর্তমানে নেই যাটজট। অবশেষে রাস্তাতে অবৈধভাবে অটো-রিকশা, ভ্যান, সিএনজি ও যাত্রিবাহী বাসগুলো সড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলাচলে সুবিধার্থে পার্শ্ববর্তী শেরপুর, জামালপুর জেলা ও আশপাশের উপজেলার লোকজন এ সড়কে চলাচল করে। বর্তমানে ধনবাড়ী বাস ষ্ট্যান্ডে যানজট না থাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। নেই যানজট। রাস্তার দুপাশে রাখা আছে কিছু অটো-রিকশা, ভ্যান, সিএনজি ও যাত্রিবাহী বাস। এর আগে তিন লেনই ছিল দখলে। এক লেনে চলতো সকল পরিবহন। রাস্তার দুপাশের ব্যবসায়ীদের দোকানগুলোতে যেতে পারতো না ক্রেতারা। জরুরী সেবার গাড়ী, শিক্ষার্থী, কর্মীজীবিদের পড়তে হতো বিপাকে। মোটরসাইলেগুলোও চলতো বেপরোয়া গতিতে। যেখানে-সেখানে থামানো হতো অটো-রিকশা, ভ্যান ও সিএনজি। উচ্ছেদ করা হয়েছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। যানজট নিরসনে কাজ করেছে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। স্থানীয় বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন ও আব্দুল বারেক মিয়া জানান, ধনবাড়ী বাস ষ্ট্যান্ডে চলাচল করা ছিল খুবই কষ্টসাধ্য। কয়েকদিন যাবত প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের নজড় দারিতে পাল্টে গেছে ধনবাড়ী বাস ষ্ট্যান্ড এলাকার চিত্র। স্কুল শিক্ষার্থী মো.রুবেল মিয়া ও আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এখন বাস ষ্ট্যান্ড এলাকার যানজট খুবই কম। নেই বললেই চলে। রাস্তা পারাপারে নেই ঝুঁকি। এর আগে আমরা যানজটের কারেণ সময় মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারতাম না। রাস্তা পারপার হতে অনেক ভয় লাগতো।’ লোভা-মুক্ত পেপার হাউজের মালিক মো. নূরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাস ষ্ট্যান্ড এলাকার চিত্র পাল্টে গেছে। দোকানে ক্রেতা আসতে পারায় বেচা-বিক্রিও বেড়ে গেছে।’ এ ব্যাপার ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চান মিয়া জানান, ‘যানজট নিরসেন পুলিশ প্রাশসনের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে। বাস ষ্ট্যান্ডকে যানজটমুক্ত রাখা হবে।’ ধনবাড়ী পৌর সভার মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল বলেন, ‘এখন থেকে বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় আর এলোমেলোভাবে কোন গাড়ী রাখতে দেয়া হবে না। জনসাধারণ যেন ভোগান্তির শিকার না হয় এ জন্য কাজ করা হচ্ছে। রাস্তার উপর যানবাহন না রেখে নিধার্রিত স্থানে রাখার জন্য বলা হচ্ছে। এর পরেও যদি এলোমেলোভাবে গাড়ী রাখা হয় তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’