প্রতিদিনই কমবেশি ডিম খাওয়া হয় সবারই। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে বাহারি ডিমের পদ তো খাওয়াই হয়। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি ডিম ক্যালসিয়াম ও ক্যালোরির চাহিদাও মেটায়। এ ছাড়াও ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ওজন কমানো থেকে শুরু করে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে ডিম। তবে স¤প্রতি শোনা যাচ্ছে, ডিম খেলে ব্রণের সমস্যা বাড়তে পারে। বিষয়টি কতটা সত্যিই কিংবা গুজব? বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম কারও কারও জন্য ব্রণের হওয়ার প্রবণতা তৈরি হতেই পারে। তবে সবার একই ধরনের সমস্যা হবে তা কিন্তু নয়। আসলে যে কোনো খাবার বিভিন্ন মানুষের শরীরে ভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। এবার জেনে নিন কেন ডিম খেলে ব্রণ বেশি হয়?
>> ডিমে কিছুটা আয়োডিন থাকে। যা ব্রণের কারণ হতে পারে। তবে ওই আয়োডিন শরীরের জন্য উপকারী। আয়োডিন শরীরে জমে থাকা দূষিত খনিজ ফ্লুয়োরাইড বের করে দেয়। যখন ফ্লুয়োরাইড শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, তা সাধারণত ব্রণ বা ত্বকের মৃতকোষ হয়েই বের হয়। >> ডিম খেলে শরীরে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু শরীরের নিজস্ব প্রোজেস্টেরন উৎপাদনের ক্ষমতা থাকে, তাই বেশি মাত্রায় হয়ে গেলে, হরমোনে তারতম্য হতে পারে। তাতেই ব্রণর সমস্যা বাড়ে।
>> ডিমে অতিরিক্ত মাত্রায় বায়োটিন থাকে। এমনিতে বায়োটিন ত্বক ও চুলের জন্য খুব উপকারী। তবে অতিরিক্ত বোয়োটিন শরীরে কেরাটিনের মাত্রা বাড়িয়ে হাইপারকেরাটোসিস বাঁধাতে পারে। এর ফলে মুখে ব্রণ হতে পারে।
>> অ্যালবামিন এক ধরনের প্রোটিন, যা আমাদের লিভার তৈরি করে। তবে বাইরে থেকে এই প্রোটিন শরীরে গেলে তা হজম করা মুশকিল। ডিমে যেহেতু অ্যালবামিন আছে, তাই বাঁধে গোলমাল। ব্রণ হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
ডিম খাওয়ার কারণে মুখে ব্রণ হচ্ছে কি না বুঝবেন কীভঅবে? যদি দেখেন হঠাৎ করেই মুখে একের পর এক ব্রণ হচ্ছে, তা হলে ডিমের উপর সন্দেহ করতেই পারেন। এটি নিশ্চিত হকে অন্তত ৩ সপ্তাহ ডিম খাওয়া বন্ধ রাখুন। যদি দেখেন মুখে আর ব্রণ বের হচ্ছে না, তাহলেই বুঝবেন ডিম খাওয়ার কারণেই ব্রণ হয়েছিল। সূত্র: ক্লিয়ার স্টিম স্ক্রিন কেয়ার