প্রত্যাশার চেয়ে বলতে গেলে অনেক বেশি। প্রতিকূল পরিবেশ, তীব্র ঠা-া, এর মাঝে কিউইদের আগুন ঝরানো পেস বোলিং। বরাবরের মতো বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে কাঁপবে, বিধ্বস্ত হবে, এটাই ছিল অনুমেয়। কিন্তু এবারের নিউজিল্যান্ড সফরের শুরুটা হয়েছে বেশ ভালো, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বেশ উজ্জ্বল বাংলাদেশ।
বে ওভালে টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৫৮ রানে দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। রোববার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই গুটিয়ে যায় দলটি, ৩২৮ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ১৭৫ রানে। এখনো স্বাগতিকদের চেয়ে ১৫৩ রানে পিছিয়ে মুমিনুল বিগ্রেড। প্রথম ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই কিউই পেসারদের তোপের মুখে ছিলেন বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। তারপরও চাপ সামলে উইকেট ধরে রাখে সাদমান ও জয়। ১৯তম ওভারে গিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পায় নিউজিল্যান্ড। ওয়াগনারের বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন ৫৫ বলে ২২ রান করা সাদমান ইসলাম। এরপর অবশ্য চিত্র ভিন্ন। কিউইদের চোখে চোখ রেখে ব্যাট করে গেছেন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনই পান ফিফটির দেখা। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ফিফটির দেখা পান জয়। ১৬৫ বলে তিনি পূর্ণ করেন ফিফটি। হাঁকিয়েছেন পাঁচটি চার। অন্যদিকে নাজমুল হোসেন শান্তর এটি দ্বিতীয় ফিফটি। ৯০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন শান্ত। চারটি চার ও এক ছক্কায় পঞ্চাশ স্পর্শ করেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন ১০৪ রান। বল খরচ করেছেন ২৩৯টি। দলীয় ১৪৭ রানের মাথায় এই পোক্ত জুটি বিচ্ছিন্ন করেন ওয়াগনার। ১০৯ বলে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে ইয়াংয়ের হাতে ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ইনিংসে ছিল সাতটি চার ও একটি ছক্কার মার। এরপর অবশ্য দিনের বাকিটা নির্বিঘেœ কাটিয়ে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মাহমুদুল হাসান জয়। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি পাওয়া জয় আছেন সেঞ্চুরির পথে। দিন শেষে ২১১ বলে ৭০ রানে অপরাজিত তিনি। তার ইনিংসে ছিল সাতটি চারের মার। অন্যদিকে ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক ২৭ বলে অপরাজিত ৮ রানে। এর আগে দিনের প্রথম সেশনে প্রথম ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে ৩২৮ রানে অল আউট হয় নিউজিল্যান্ড। ৫ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে খেলতে নামা নিউজিল্যান্ড তাদের শেষ পাঁচ উইকেট হারায় ৭০ রানের মধ্যে। হেনরি নিকোলস করেন ৭৫ রান। প্রথম দিনে ১২২ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে। বল হাতে শরিফুল ও মিরাজ তিনটি করে উইকেট নেন। মুমিনুল হক দুটি, ইবাদত নেন একটি উইকেট। তাসকিন আহমেদ ২৬ ওভারে সাত মেডেনে দেন মাত্র ৭৭ রান। দুর্দান্ত বোলিং। কিন্তু উইকেটের দেখা পাননি তিনি। আরেক পেসার শরিফুলও ভালো করেছেন। ২৬ ওভারে তিনি মেডেন পান সাতটি। রান দেন ৬৯, উইকেট তিনটি। সবচেয়ে ভালো বোলিং ফিগার তারই, ইকোনমি রেট ২.৬৫। এরপরই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩২ ওভারে নয়টি মেডেন। রান দিয়েছেন ৮৬, উইকেট তিনটি। ইকোনমি রেট ২.৬৮।