ভোলার তজুমদ্দিন সড়কে আতঙ্কের নাম অনুমোদন বিহীন ট্রাক-লড়ি! এসব যানবাহনগুলোর নেই রেজিষ্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ, রুট পারমিট কিংবা ড্রাইভারের লাইসেন্স। যারফলে বেপরোয়া চলাচলের কারনে প্রতিদিনই ঘটছে দূর্ঘটনা। তারপরও প্রশাসনের কোন তৎপড়তা চোখে পড়েনি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, উপজেলা সদরসহ শম্ভুপুর খাশের হাট, শিবপুর খাশের হাট, মুচি বাড়ির কোনা, ডাওরী ও ফকিরহাট এলাকায় অনুমোদন বিহীন অন্তত শতাধিক ট্রাক-লড়ি জেলার বিভিন্ন সড়কে চলছে। দিনের পর দিন এদের এমন বেপরোয়া চলাচলে প্রতি বছর দূর্ঘনায় মৃত্যু হয় অনেকের। তজুমদ্দিনের ফকিরহাট এলাকায় অটোরিক্সাকে ধাক্কা দিয়ে ট্রাক-লড়ি ও অটোতিক্সা পুকুরে উল্টে পড়ে যায়। জুমদ্দিনের ফকিরহাট এলাকায় অটোরিক্সাকে ধাক্কা দিয়ে ট্রাক-লড়ি অটোরিকশার মধ্যে এই দূর্ঘটনা ঘটে। সুত্রে জানা গেছে, জমিতে চাষাবাদের কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলারগুলোকে মৌসুম শেষে এক শ্রেণির সুবিধাভোগীরা এসব বাহনকে বডি যুক্ত করে ট্রাক-লড়িতে রুপান্তর করে নেন। এরপর এসব যানবাহন সড়কে নেমে হয়ে ওঠে ’ট্রাক-লড়ি’তে! রাস্তায় নেমেই এরা ইঞ্জিনের শক্তির বাইরেও ভারী মালামাল বহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। এদের চলাচলের বৈধতা দেয় উপজেলার ৪-৫ টি বাজারে গড়ে ওঠা মাসোয়ারা সিন্ডিকেট। প্রতিমাসে প্রশাসনকে ম্যানেজ করার নামে ওই সিন্ডিকেট এসব বাহনগুলো হতে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়। অভিযোগ আছে, একটি প্রশাসনের গুটি কয়েক কর্মকর্তাও ভাগ পান এসব অর্থ হতে। তাই এদের এমন বেপরোয়া চলাচল ও দূর্ঘটনায়ও কর্ণপাত নেই কারোই। ২ জানুয়ারী (রবিবার) দুপুর ১২ টায় উপজেলার ফকির হাট এলাকায় তজুমদ্দিন গামী একটি যাত্রীবিহীন অটো-রিক্সাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় ওই এলাকার জামালের মালীকানাধীন লড়ি। এত অটো রিক্সা ও লড়ি দুটোই পাশের পুকুরে পড়ে যায়। মুমূর্ষূ অবস্থায় স্থানীয়রা অটো চালককে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্ত ট্রাক-লড়ির ড্রাইভার সেখান থেকে পালিয়ে যায়। থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পুলিশ এমন কোন দূর্ঘঘটনার সংবাদই পায় নি। পরে সাংবাদিকদেও কাছে জেনে তিনি হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান বলে জানা গেছে। ওসি (তদন্ত) আনিসুর রহমান জানান, আইন অনুযায়ী সকল ইঞ্জিন চালিত বাহনের রেজিষ্ট্রেশন, রুট পারমিট, ফিটনেস সনদ ও ড্রাইভারের লাইসেন্স থাকতে হবে। অনুমোদনবিহীন এধরনের গাড়ি পেলেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো।