স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের ঐকান্তিক সহযোগিতা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তেক্ষেপে অবশেষে নিখোঁজ ভারত থেকে ১মাস ৩ দিন পর হলেও ২০ জেলেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ১১জানুয়ারী/২২ইং তারিখে সন্ধ্যায় নিখোজ ২০ জেলেরা তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌছে। তাদেরকে পেয়ে কান্নাপরিবারের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। স্বজন ও হারিয়ে যাওয়া জেলেদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, গভীর সমুদ্্ের (সাগরে) ইলিশ ধরতে গিয়ে ইঞ্জিন বিকলে নদী বা সাগরে ভাসতে থাকে। এভাবে রাতে দিনে প্রায় ১৪দিন সাগেরর ভাসতে থাকে। এর মধ্যে তাদের সাথে নেয়া খাবারও শেষ হয়ে যায়। বোটে থাকা মাছগুলো পচন ধরায় নদীতে পালিয়ে দিতে হয়েছে। ১৫দিনের দিন ভারতের একটি মাছ ধরার ট্রলারের সন্ধান পায়। ্ওই ট্রলার রশি দিয়ে টেনে ভারতের নৌবাহিনীর কাছে দেয়। নৌবাহিনী তাদেরকে ভারতের উড়িষা পারাদীপ সামুদ্রিক পুলিশের হেফাজতে রাখে। এদিকে সাগরে যাওয়ার জেলেদের কোন সন্ধান না পেয়ে পরিবারগুলো হতাশ দিনগুনছে। তাদেরকে ভাবনা ছিল সাগরে ডুবে তারা মারা গেছে। এদিকে বহিরাগত ২০ জেলে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ভারতের একটি হিন্দি টিবি চ্যানেলে খবর প্রকাশের পর নিখোঁজ ২০ জেলের বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন পরিবারগুলো। তখন থেকে ভোলা-৪ চরফ্যাশন ও মনপুরা আসনের সংসদস্য ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর সহয়োগিতা পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ওই দেশের সরকার সহযোগিতা কামনা করেন। ভারত সরকারের সহযোগিতা আটক থাকা জেলেদেরকে একটি থানার রুমে সকল প্রকার খাবার দিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছেন। জানা গেছে, আল্লাহর দান মাছধরা ট্রলারের মাঝি নুরুল ইসলাম চরফ্যাশন উপজেলা বেতুয়াঘাট থেকে ৬ ডিসেম্বর সাগরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার দুই দিন পর ট্রলারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এমন সংবাদে চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মিলিটারী ওই সকল জেলেদেরকে উদ্ধার করতে গত ২৭ ডিসেম্বর ভারতে উদ্দেশ্যে রওয়া হয়। আইনী সকল জঠিলতা কাটিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগিতা ১৩দিনপর অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার তাদের উদ্ধার করতে স্বক্ষম হন। ভারতে আটক ২০ জেলের মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার খোদেজাবাগ গ্রামের মিরাজ, মোতাছিন মাঝি ও মো. বশার, চর কচ্ছপিয়া গ্রামের সোহেল, রিপন, বেল্লাল, সবুজ ও জামাল, দক্ষিণ ফ্যাসন গ্রামের নুর ইসলাম, মোতাছিন, আবু জাহের, ছলেমান, হানিফ ও ছালাউদ্দিন, চর মানিকা গ্রামের দেলোয়ার ও ছালাউদ্দিন, ওমরপুর গ্রামের মোস্তাফিজ এবং আলীগাঁও গ্রামের হারুন এবং জিন্নাগড় গ্রামের নুরুল ইসলাম মাঝির নাম জানা গেছে। আবুল কাশেম মিলিটারী জানান, প্রায় ১৩দিন পর নিজে অবশেষে ভারতে গিয়ে বিভিন্ন কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় ও আমাদের আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহদয়ের প্রচেষ্টা জেলে ও ট্রলার উদ্ধার করতে সক্ষম হই।