সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ শাহজাদপুর ০৬ অঞ্চলের পরিচালক পদে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রাহকদের দ্বৈত ও ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকায় অনুষ্ঠিত নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবীতে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন পরিচালক পদে চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী মোঃ ওমর ফারুক। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ উল্লাপাড়া আরএস কার্যালয়ে মোঃ ওমর ফারুক এ আবেদন (নং-৪৬৪, তারিখ: ১৫-০১-২০২২ খ্রীঃ) করেছেন। দাখিলকৃত আবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত পবিস নির্বাচনে পরিচালক পদে চেয়ার প্রতীক নিয়ে মোঃ ওমর ফারুক নির্বাচনে অংশ নেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক প্রকাশকৃত ভোটার তালিকায় তার ভোটার নাম্বার ছিলো ৩৬০৫৯ যা তার জমাকৃত মনোনয়ন পত্রে উল্লেখ করা হয় ও নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় গত ১২ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পরিচালক পদের নির্বাচনে পবিস কর্র্তৃক প্রকাশিত ভোটার তালিকায় তার ভোটার নাম্বার ৩৬৪১৬ দেখা যায়। ফলে ভোট দিতে গিয়ে তিনি বিড়ম্বনার শিকার হন। প্রার্থী হিসেবে তাকে ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া হলেও নির্বাচন কমিশন কর্র্তৃক প্রার্থীদের সরবরাহকৃত ভোটার তালিকার সাথে ভোটকেন্দ্রে ব্যবহৃত ভোটার তালিকায় গড়মিল দেখা যায়। ফলে ভোট দিতে আসা অসংখ্য ভোটার ভোট দিতে না পেরে ফেরত যান। এতে প্রশ্নবিদ্ধ এ নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। ষড়যন্ত্রমূলক দ্বৈত বিভ্রান্তিমূলক ভোটার তালিকায় অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন বাতিল করে পরিশুদ্ধ ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রকাশ করে পুনরায় নির্বাচনের জোর জানান মোঃ ওমর ফারুক। এ বিষয়ে মোঃ ওমর ফারুক জানান, ‘আমাকে কৌশলে হরিয়ে দিতে দ্বৈত ভোটার তালিকা তৈরি করে এ বিতর্কিত নির্বাচন করা হয়েছে। অবিলম্বে প্রশ্নবিদ্ধ এ নির্বাচন বাতিল করে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রনয়ন ও নতুন তপশীল ঘোষণা করে পুনরায় নির্বাচনের দাবী জানাচ্ছি।’ অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম (সদস্য সেবা) ও নির্বাচন কমিশন সদস্য মোঃ তুহিন রেজা জানান, ‘এ সংক্রান্ত একটি আবেদন পেয়েছি। আবেদনটি নির্বাচন কমিশন প্রধান বরাবর পাঠানো হবে।’