আলোচিত- সমালোচিত নূরুলহুদা কমিশন
সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত রকিব উদ্দিন কমিশনের পথেই হেঁটেছে কে এম নূরুল হুদা কমিশন। একমাসের কম সময়ে বিদায় হতে যাওয়া বর্তমান কমিশন মেয়াদজুড়েই সমালোচনার মুখে ছিল। প্রকাশ্যে এসেছে কমিশনের নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ। দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে বর্তমান কমিশনের বিরুদ্ধে। নানা ঢাকঢোল পিটিয়ে ইসি সংশ্লিষ্ট আইনগুলোকে যুগোপযোগীসহ নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তাতে সফলতা পায়নি কমিশন। মেয়াদের শেষ দিকে ‘রক্তাক্ত’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেয়াদ পার করতে যাচ্ছে এই কমিশন। অবশ্য সদ্য অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল বিতর্কহীন। এদিকে পূর্ববর্তী রকিব উদ্দিন কমিশন সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলেও সফল হয়েছে বর্তমান কমিশন। নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনা থাকলেও বর্তমান কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
দ্বিতীয়বারের মতো সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে কে এম নূরুল হুদা কমিশন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ নেয়। সেই হিসাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পাঁচ বছরের মেয়াদে একাদশ সংসদ নির্বাচন, সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনসহ বিভিন্ন স্তরের প্রায় পাঁচ হাজার নির্বাচন সম্পন্ন করেছে কমিশনটি। সামনে আরও আড়াই’শর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
বেশিরভাগ ভোট নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠেছে নানা প্রশ্ন। এমনকি সমালোচনা ছিল কমিশনের ভেতরেও। তবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল, জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে তৃণমূলের ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারসহ আলোচিত কিছু পদক্ষেপ দেখা গেছে এ কমিশনের আমলে। অবশ্য কমিশন দাবি করেছে ‘দে ডিড দেয়ার বেস্ট’। আইনের মধ্যে সর্বোচ্চটা করার চেষ্টা করেছে তারা। তথাপি বর্তমান কমিশনকে নিষ্ফল প্রক্রিয়ার বিষফল আখ্যায়িত করে নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, বর্তমান কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যে পেছনের দিকে যাচ্ছি তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ এই কমিশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, আইন ও বিধিমালা সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করতে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছিল বর্তমান নির্বাচন কমিশন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কখন কী ধরনের সংস্কার করা হবেÍভোটের দেড় বছর আগে তার পথনকশা প্রকাশ করা হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছু কাজও এগোলেও শেষপর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। নির্বাচনের সময় অনিয়ম-আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা দেখভালে ‘তৃতীয় চোখ’ নিয়োগ, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রকাশ্যে টানানো, ভোটকেন্দ্রের আধুনিকায়নের মতো অনেক প্রস্তাব-সুপারিশ আকারেই রয়ে গেছে।
জানা গেছে, নির্বাচনের পাশাপাশি আইন সংশোধন কার্যক্রম নিয়েও বারবার সমালোচনা শুনতে হয়েছে এই ইসিকে। জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনি আইন-বিধিমালার সংশোধনে পরামর্শকের পেছনে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং ভোটার তালিকা আইন ও বিধিমালায় ২১ বার ভাষাসহ কয়েকটি ছোটখাটো অনেক বিষয়ে সংশোধনী এনেছে। তবে কোনও আইন বা বিধিমালায় তেমন মৌলিক পরিবর্তন আসেনি। উল্টো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও) থেকে প্রার্থিতা বাতিলে ইসির ক্ষমতাসংক্রান্ত ধারা ৯১-ই সহ বেশ কিছু মৌলিক ধারা বাতিলের চেষ্টা করে সমালোচিত হয়েছে। আরপিও’র নাম পরিবর্তনসহ নানা সংস্কারের প্রস্তাব করলেও সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে। এ সময় দেশবাসী কেবল আরপিও’র বাংলা পাঠ দেখতে পেয়েছে। নির্বাচনে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়ে মোটা অঙ্কের ভাতা নেওয়া, কমিশন সচিবালয়ের সঙ্গে কমিশনারদের দূরত্বসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েও পুরো মেয়াদে আলোচনায় ছিল। আইনে ফি-বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদের কথা থাকলেও পাঁচ বছরে মাত্র দুবার হালনাগাদ করতে পেরেছে কমিশন। ১০ বছর বয়সী শিশুদের তথ্য সংগ্রহসহ বিদায়ী বছরে ভোটার তালিকা হালনাগাদের উদ্যোগ নিলেও তা সম্ভব হয়নি।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিয়ে ওই দিন সিইসি কে এম নূরুল হুদা সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়াই তাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তিনি সকল প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষ, আপসহীন ও সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব পালনেরও প্রতিশ্রুতি দেন। এ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই বছরের ৩০ মার্চ কুমিল্লা ও ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। দুই নির্বাচনেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়। পরের নির্বাচনগুলো নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। তবে বেশিরভাগ অনিয়মের অভিযোগ তারা এড়িয়ে যান।
এ কমিশনের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ, দশম জাতীয় সংসদের সাতটি এবং একাদশ জাতীয় সংসদের ২০টি উপনির্বাচন, ১২টি সিটি করপোরেশন, ৪৫৩টি উপজেলা পরিষদ, ২৬৩টি পৌরসভা ও তিন হাজার ৭৭৩ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়। প্রতিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় সমালোচনার মুখে ছিল এ কমিশন। আগের কমিশন সব ধরনের নির্বাচন করতে সক্ষম হলেও বর্তমান কমিশন জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছে। অবশ্য তারা জানিয়েছে, করোনার কারণে সময়মত ইউপি নির্বাচন শেষ করতে না পারায় তারা জেলা পরিষদ নির্বাচন করা যায়নি।
আইন ও সংস্কার: ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করে ইসি। ওই সময়ে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যাকে প্রাধান্য দেওয়া, জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনে সংস্কার আনার কথাও জানিয়েছিল ইসি। ওই সংস্কার আলোর মুখ দেখেনি। যদিও এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়। উল্টো বিভিন্ন ধরনের আইন ও বিধিমালা সংশোধনের নামে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এ ছাড়া আরপিও থেকে প্রার্থিতা বাতিলের ইসির ক্ষমতা সংক্রান্ত ধারা ৯১ই সহ কয়েকটি মৌলিক বিষয় বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের আপত্তির মুখে তা থেকে সরে আসে কমিশন।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় দুবার করে সংশোধনী আনে এ কমিশন। সংশোধনীগুলো ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিধিমালায় তিনটি এবং ভোটার তালিকা সংক্রান্ত আইন ও বিধিতে চারবার সংশোধনী আনে।
অভ্যন্তরীণ বিরোধ: সিইসির সঙ্গে চার কমিশনারের দূরত্ব এবং নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের কয়েকবারের সংবাদ সম্মেলনে আরও বিতর্ক তৈরি হয়। কমিশনের অনেক সিদ্ধান্তে তিনি নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন। কমিশন সভা বয়কট করেছেন। গণমাধ্যমে কমিশনের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে তিনি ‘রক্তাক্ত’ নির্বাচন আখ্যায়িত করেছেন। অবশ্য তিনি এও বলেন, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচন তাদের আমলের সর্বোত্তম নির্বাচন। বর্তমান কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ এবং পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণের নামে প্রায় সাত কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ভাতা নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচনার মধ্যে পড়ে এ কমিশন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও ইসির নীতিমালা ছাড়া এ অর্থ খরচ করায় আপত্তি জানায় অডিট অধিদফতর।
এসব অনিয়মসহ বর্তমান কমিশন গুরুতর অসদাচরণে লিপ্ত উল্লেখ করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ৪২ নাগরিক চিঠি দিয়েছিলেন। কমিশনের দুর্নীতি তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনেও চিঠি দিয়েছিলেন কয়েকজন আইনজীবী। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব অভিযোগের বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে ৪২ নাগরিকের তোলা অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করেন। ৪ কোটি ৮ লাখ টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে দাবি তার।
আলোচিত যত বিষয়: কাজী রকিবউদ্দীন কমিশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিল। অনেক রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করে নতুন ধরনের ইভিএম চালু করে এ কমিশন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। পরে সংসদীয় আসনের উপ নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার করে বর্তমান ইসি।
জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন মিলিয়ে ৩০০টির মতো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এতে নানা সমালোচনা ও ভোটারদের মধ্যে ভীতির কথা শোনা গেলেও ভোটের পরে অনেকে প্রশংসাই করেছেন। ইভিএম ব্যবহারে বড় ধরনের ত্রুটির খবরও পাওয়া যায়নি। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাচন বিশ্লেষক ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা ৫টি বছর একটি নিষ্ফল প্রক্রিয়ার বিষফল দেখেছি। যার মাশুল জাতি হিসেবে দিচ্ছি, ভবিষ্যতেও দেবো। আমরা দায়ীদের দায়বদ্ধ করতে রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হয়েছিলাম। আমি মনে করি তাদেরকে দায়বদ্ধ করা দরকার ছিল। কিন্তু তা না করে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশন যে জালিয়াতি, দুর্নীতি ও অপকর্ম করেছে এর দায় কার তা বের করা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই কমিশনকে এভাবে মূল্যায়ন করা যায় যে আমরা সামনের দিকে যাচ্ছি না। অতীতের নির্বাচন কমিশনগুলোর বিবেচনায় আমরা পেছনের দিকে যাচ্ছি। কাজী রকিবউদ্দীন কমিশন নির্বাচনের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ কমিশন নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা ধ্বংসের কফিনে শেষ পেরেক মেরেছে।’
বর্তমান কমিশন এক কথায় ভালো করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মোবারক। তিনি বলেন, ‘আমি কমিশনকে ভালো দেখেছি। যে চেয়ারে দায়িত্ব পালন করেছি সেই চেয়ারের উত্তরসূরিকে আমি মন্দ বলতে পারি না।’ আপনাদের সঙ্গে বর্তমান কমিশনের কীভাবে তুলনা করবেনÍএমন প্রশ্নের জবাবে মোবারক বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে সকলে সমান জানবেন বা সমান করবেন এটা সম্ভব নয়। একটু হলেও কমবেশি থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তার আইনি দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছে বলে ধরতে হবে। পুরোটাই করেছেন বা করতে পেরেছেন এটা বলা ঠিক নয়। কারণ পারফেকশন নিজে নিজে দাবি করা উচিত নয়।’
অবশ্য কমিশনের অভ্যন্তরীণ বিতর্কটি কাম্য ছিল না মন্তব্য করে সাবেক এই কমিশনার বলেন, ‘কমিশন সদস্য হিসেবে তিনিসহ তাদের কমিশনের সদস্যরা অনেক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন। সভা বয়কট করেছেন। কিন্তু তারা এটা বাইরে প্রকাশ করেননি। এবার সেটা দেখা গেছে। এটা ঠিক নয়। চেয়ারে বসা অবস্থায় ইনফরমেশন লিক করে দেওয়া, সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলা, এসব ডেকোরামের বাইরে। কমিশন থেকে রিজাইন করলে কেউ তা করতে পারতেন। ভেতরে থেকে করাটা সমীচীন নয়।’ নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উই ডিড আওয়ার বেস্ট। কী হয়েছে না হয়েছে, কতটুকু করতে পেরেছি এটা জনগণ মূল্যায়ন করবে। তবে আমরা আইন ও বিধিবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। যে শপথ নিয়েছিলাম সেই অনুযায়ী সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।’-বাংলাট্রিবিউন