মানুষের অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এরকম একটা পরিস্থিতির কারণে এক থেকে ৩২ শতাংশে উঠেছে সংক্রমনের হার। এটা খুবই আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে রোগী যারা আসছেন তাদের ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি। মারা যারা যাচ্ছেন তাদেরও ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবার বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ বৃদ্ধির আরেকটি কারণ বৈশ্বিক কারণ। সারাবিশ্বে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশেও। তবে একটা আশার খবর হচ্ছে ইউরোপে কমছে, ভারতে কমছে-তাদের আক্রান্তের সংখ্যা লাখ লাখ ছিলো।
এখন আস্তে আস্তে কমে আসছে। ওমিক্রন মাইল্ড হতে পারে কিন্ত তার সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ যখন বেশি হবে তখন মৃত্যু বেশি হবে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতাল প্রস্তত রয়েছে জানান তিনি। রাজধানীতে সরকারি যে হাসপাতাল আছে, সেগুলো ২৫ শতাংশ শয্যা ভারে গেছে। এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে বেডের চাহিদা বাড়বে। সংক্রমণ বাড়লে সেই হারে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে না উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এটা কারণ হচ্ছে টিকা নেয়া। আমার ৩১ কোটি টিকা পাবো। অনেক মানুষকে টিকা দেয়া হয়োছে জানিয়ে তিনি বলেন, যার ফলে হসপিটালাইজেশন কম হবে। আমাদের আরো টার্গেটেড আরও তিন কোটি লোক বাকি আছে। ট্রান্সপোর্ট, ইন্ডাস্ট্রি, কনস্ট্রাকশন সেক্টরে বাকি আছে। টিকা নেয়ার জন্য তারা এগিয়ে আসেনি। তাদের কিভাবে টিকা দেয়া যায় সে বিষয়ে আমরা বৈঠক করেছি। হাসপাতালে রোগী যারা আসছেন তাদের ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি এবং মারা যারা যাচ্ছেন তাদেরও ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, বাসার বাইরে মানুষ সেই ভাবে মাস্ক পরে না। স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ওমিক্রণ মাইল্ড হওয়ায় কথা চিন্তা করে আমরা যদি ইচ্ছেমত চলাফেরা করি তাহলে আমাদের ক্ষতি হবে। আমাদের দেশ অনেক ভালো অবস্থায় আছে। আমাদের সমস্ত সূচকই ভালো আছে। আমরা যাদি ফেল করি তাহলে সূচকগুলো ভালো থাকবে না । আগেও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকরা যেভাবে এগিয়ে এসেছিলো এবারও সেই ভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আশা করি এবারও আপনার আগেরবারের মত করবেন। আমি সব জায়গায়ই আপনাদের কথা বলি।