সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন

মনোহরদীতে সামান্য বৃষ্টিতেই পাকা সড়কে চলা দায়!

মাহবুবুর রহমান মনোহরদী (নরসিংদী) :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার বিভিন্ন পাঁকা সড়ক যেন মরণ ফাঁদ হয়ে পড়েছে। অল্প বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে এসব পাঁকা সড়কগুলো। ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় নেওয়ার সময় সড়কগুলোতে মাটি পড়ে অসময়ের বৃষ্টিতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে পড়ছে। ফলে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারছেনা যানবাহন। প্রতিমুহূর্তে ঘটছে নানা রকমের দুর্ঘটনা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় ইট ভাটার মালিকরা কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেননা। সরেজমিনে জানা যায়, চন্ডিতলা গ্রামে অবস্থিত মেসার্স বিবিএফ এবং সিবিএফ নামে দুটি ইট ভাটা। ইট ভাটা দুটিতে মাটি নেওয়ায় বড়চাপা থেকে শাহ ইরানী মাজার সড়কের চন্ডিতলা, আতুশাল ও শিমুলতলী এলাকার সড়কগুলো পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে। এয়াড়া বড় মির্জাপুর গ্রামে কেবিএম ইট ভাটায় মাটি আনা নেওয়ায় চালাকচর থেকে চন্ডিতলা মোড় সড়কের বীর মাইজদিয়া, উরুলিয়া, কাহেতেরগাঁও এবং আশে পাশের সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর এমন দিনে সড়কগুলো ইট ভাটার ট্রাক ও ট্রলির দখলে থাকে। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ওই সব ট্রাক-ট্রলি এলাকার মাঠ ও পুকুর থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। বেপরোয়া গতির ট্রাক সড়কে চলাচলের কারনে ভালোরাস্তা দেখতে দেখতে ভেঙ্গে এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, ট্রাক চলাচলের কারনে সড়কের পাশে বসবাসকারীরা চরম কষ্টে দিন পার করছেন। মাটি বহনের কারনে ওই মাটি সড়কগুলো ধুলায় রূপ নিয়েছে। এছাড়া সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখান থেকেও উড়ছে ধুলা-বালু। যার কারনে বাড়িঘরে বসবাস করা এখন কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। ভূক্তভোগী পথচারীরা বলেন, ইট ভাটায় মাটি নেয়ার সময় সড়কে মাটি পড়ে। অসময়ের বৃষ্টিতে মাটির কাঁদা পানির সৃষ্টি হওয়ায় সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পথচারীদের নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসন যদি নজর দিত তাহলে সড়কের এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতোনা। অটো রিকশা চালক আবুল হোসেন বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই চালাকচর থেকে শিমুলকান্দী সড়কে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়না। কয়েকদিন আগে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় যাত্রীসহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি। এতে গাড়ীর অনেক ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সিবিএফ এবং বিবিএফ ব্রিকসের মালিক আফাজ উদ্দিন কিরণ বলেন, আমার মার ইট ভাটায় এ বছর মাটি নেওয়া হয়নি। যারা পুকুর অথবা গর্ত ভরাট করেন তাদের কারণে রাস্তার এই দূরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম. কাসেম বলেন, রাস্তার এই সমস্যা নিয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com