আমন ধানের বাম্পার ফলন ঘরে তোলা শেষে কনকনে বাতাস আর হাঁড় কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করেই পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বোরো চাষিরা বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যদিও কিছু সময় ধরে ঘন কুয়াশাসহ হাঁড় কাঁপানো শীতের দাপটে চাষিদের কিছু সময় চলে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১৯ হাজার হেক্টর। কিন্তু চাষিরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক জমিতে বোরো চাষ করবেন বলে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। উপজেলার বোরো চাষিদের উন্নত জাতের বোরো ধান আবাদসহ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং চাষিদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পৌর এলাকার মন্নাপাড়া গ্রামের বোরো চাষি কফিলুর রহমান বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়লেও তারা বোরো চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। কারণ একটু আগাম থাকতে বোরো ধানের চারা রোপন করলে ধানের ফলন ভালো হয়। তেমনি ক্ষেতে রোগবালাই এর সম্ভাবনা কম থাকে। তেল ও সার সংকট নিয়ে চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তেল দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে কৃষকদের ধান উৎপাদান খরচ বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে উপজেলায় কৃষকরা টিকমত পটাস সার পাচ্ছে না। অন্যানা ডিএফপি, ড্যাপ, ইউরিয়া সার বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ডিলারদের কাছ থেকে পটাশ সার সঠিক দামে পাওয়া গেলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকারি দামের চেয়ে ২/৩ শত টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন বলে কৃষকরা এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন অর রশিদ বলেন, চলতি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাঠে মাঠে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এ বছর উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধানের আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে আমনের মতোই উপজেলায় বোরো ধানেরও বাম্পার ফলন হয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।