বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

রক্তের উপর দাঁড়িয়ে চেয়ারম্যান হতে চান নৌকার প্রার্থী : অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর

দেলোয়ার হোসেন রশিদী (সাতকানিয়া) চট্টগ্রাম :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ব্যবহার হয়েছে লাইসেন্স থাকা একটি শটগান। এই শটগানটি আওয়ামী লীগ প্রার্থী আক্তার হোসেনের বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের নির্বাচনী গণসংযোগে খাগরিয়া ইউনিয়নের গণিপাড়া এলাকায় হামলার সময় শটগানের গুলিতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ সকলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের অনুসারী। সাতকানিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘খাগরিয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থী আক্তার হোসেনের লাইসেন্স করা শটগান দিয়েই ২৭ জানুয়ারি সকাল ১১টায় গ্রামবাসীর উপর গুলি চালানো হয়েছে। এতে ১৫ জন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়। নৌকার প্রার্থী লাশ ফেলানোর জন্যই এ গুলির ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী শটগানের লাইসেন্স দেওয়া হয় তাকে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তার লাইসেন্স নং-৪৮, তাং-২৪/০২/২০১৫। এই লাইসেন্স করা শটগানের পাশাপাশি তার কাছে বেশ কয়েকটি অবৈধ পিস্তল আছে। যার মধ্যে আছে নাইনএমএম ও সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ পিস্তলও। এসব অস্ত্র দিয়ে নিয়মিত গুলি ছোড়া হয় এলাকায়। যেগুলো এই নির্বাচনেও ব্যবহার করছেন আক্তার হোসেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তার এই অস্ত্রগুলো যদি প্রশাসন জব্দ না করে তাহলে খাগরিয়ায় আক্তার হোসেনের হাতে অনেক মায়ের বুক খালি হবে। সম্পূর্ণ অস্ত্র নির্ভর রাজনীতির মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচন করছেন তিনি। ২৭ জানুয়ারি একদিনে এতগুলো মানুষকে গুলি করে আহত করার পরও যদি প্রশাসন তার কাছে থাকা লাইসেন্সকৃত বন্দুক ও অবৈধ বন্দুক জব্দ না করে তাহলে এটি খাগরিয়ার জনগণের জন্য হুমকি। তাই আমি জেলা প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট অফিসার স জেলার পুলিশের এসপি মহোদয়কে করজোড়ে অনুরোধ করছি তার লাইসেন্স করা অস্ত্র এবং তার কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্রগুলো যেন জব্দ করা হয়।’ জসিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘নৌকার প্রার্থী আক্তার হোসেন জনতার ভোটে নয়, গায়েবি কোনো ভোটের মাধ্যমে জিতে আসতে ছক আঁকছে। তার পেশিশক্তির জোরে, অস্ত্রবাজি করে গায়েবি ভোট আয়োজনের স্বপ্ন খাগরিয়ার জনগণ কিছুতেই বাস্তবায়ন হতে দেবে না। কারণ খাগরিয়াকে আক্তার হোসেন দ্বিতীয় টেকনাফ বানিয়েছেন ইয়াবা জোন হিসেবে। খাগরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে বসে স্কুলকে দুর্নীতির হাট বানিয়েছেন। নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে এ স্কুল থেকে তার নেতৃত্বে। এলাকার উন্নয়ন নয়, আওয়ামী লীগ সরকারকে বিব্রত করতে এবং খাগরিয়ার ইয়াবা ব্যবসাকে আরও জমজমাট করতে আক্তার হোসেন গায়েবি ভোটের মাধ্যমে খাগরিয়াবাসীর কারও লাশ এবং রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com