শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

জামালপুরে এপির উদ্যোগে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ

এম এ কাশেম জামালপুর :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমনের ভয়বহতার হাত থেকে মানুষকে রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সংঘ বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই ফেব্রুয়ারি উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাস্তবায়নাধীন এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর উদ্যোগে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবকদের দিনব্যপী প্রশিক্ষণ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ উত্তম কুমার সরকার।জামালপুর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের এপি ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন। এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, সহকারী পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল, হযরত শাহজামাল (রঃ) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান প্রমুখ। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ উত্তম কুমার সরকারের হাতে ৬ হাজার মাস্ক ও ১৮০টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ উত্তম কুমার সরকার উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের ভূয়শি প্রশংসা করে বলেন অতিমারির এসময় প্রশিক্ষণের উদ্যোগ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ সত্যিই একটা শুভ উদ্যোগ। এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে তিনি সংস্থা দুটির কাছে অনুরোধ জানান। শিশুদের মৌলিক চাহিদা পুরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুরু হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। জামালপুরের ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ এপি বাস্তবায়ন করছে। প্রশিক্ষণ সূত্র জানায় উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষিরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১, ও ১২ নং ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ২৩ হাজার ২৮২ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং ।অপরদিকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী হিজড়াদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরিবার ও ব্যবসা উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। ১০ম ও শেষ প্রশিক্ষণ ব্যচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজু আহমেদ। উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু ইলিয়াস মল্লিক, উন্নয়ন সংঘের সহকারী পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল, প্রকল্প কর্মকর্তা আরজু আহম্মেদ, হিজড়াদের গুরু মা দেলোয়ার হিজড়া, চন্দ্রা হিজড়া প্রমুখ। ২ ফেব্রুয়ারি উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসির হলরুমে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় ।বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্টিল কোম্পানী বিএসআরএম গ্রুপের অর্থায়নে এবং উন্নয়ন সংঘের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে সহায়কের দায়িত্ব পালন করেন উন্নয়ন সংঘের হিজড়া উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক লিটন সরকার, প্রকল্প কর্মকর্তা আরজু আহম্মেদ। প্রতি ব্যচে ২৫জন করে হিজড়া সদস্য অংশ নেন। ১০ ব্যচে মোট ২৫০জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।জানা যায় হিজড়াদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জামালপুরে প্রাথমিকভাবে ২৫০জন হিজড়াদের প্রকল্পেরউপকারভোগী হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৪ জন কর্মী নিয়োগ ছাড়াও ফোকাল পারসন ও হিসাব রক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ হিজড়াদের চলমান আয়ের উৎস এবং কর্মসংস্থানের জন্য বিদ্যমান সুযোগগুলো চিহ্নিত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানান। এ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে চাহিদা নিরুপন নিশ্চিত করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হবে। তাদের মাঝে সহজশর্তে ঋণ বিতরণসহ শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরী ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানের চিন্তা করা হয়েছে। সরকারিভাবে আবাসন সুবিধা, পরিবারে তাদেরকে সংযুক্তি করা, সরকারি ভাতা নিশ্চিত করা, বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংষ্কৃতিক কর্মকান্ডে তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করাসহ উন্নয়নের মূলস্রোতধারায় হিজড়াদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তাদের সম্মান ও মানবাধিকার সুরক্ষা করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com