সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

ধামরাইয়ে শিম চাষে কৃষকের মুখে হাসি

ওয়াসিম হোসেন ধামরাই (ঢাকা) :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

চলতি মৌসুমে শিম চাষ করে আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হচ্ছেন ধামরাইয়ের কৃষকরা। ভালো ফলন ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারায় কৃষকরা ভীষণ আনন্দিত। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া শিম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ফলন ভালো হওয়ায় প্রতিবছর বাড়তে শুরু করেছে শিম চাষির সংখ্যা। ধামরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছরে শিম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৬৪ হেক্টর জমিতে। এই অঞ্চলে আগাম চাষের জন্য ‘বারি শিম-১’ ও ‘ঝাড় শিম’ নামের দু’টি জাতের শিম চাষ করা হয়। জৈষ্ঠ্য-আষাড় মাসের দিকে শিমের বীজ বপন করেন চাষিরা। সাধারণত বীজ বপনের ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে শিমের লতায় ফুল আসতে শুরু করে। অতি বর্ষা না হলে প্রায় ৬ মাস স্থায়ী হয় শিমের মাচা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ফুলে ফুলে শোভা পাচ্ছে শিমের মাচা। শিমের রুগ্ন ফুল ছাড়িয়ে ফেলা, ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করা এবং কীট-পতঙ্গ প্রতিরোধসহ নানা কাজে সময় পার করছেন শিম চাষিরা। উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামের শিম চাষি আঃ মালেক বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে শিম চাষ করে আসছি। কম বেশি প্রতি বছরই লাভবান হচ্ছি। এ বছরও বাজারে শিমের দাম ভালো। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। এ বছরে ১ বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। শিম বিক্রি করে পেয়েছি ৪২ হাজার টাকা। আশা করছি আরও ৩০-৪০হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবো। একই গ্রামের শিম চাষি আ: মান্নান জানান, ২০ শতাংশ জমিতে খরচ হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ২০-২৫ হাজার টাকার শিম বিক্রি করছে। আশা করছি এবছরে অন্য বছরের তুলনায় বেশি লাভ হবে। উপজেলার হাতকোড়া গ্রামের শিম চাষি সহিদুল ইসলাস বলেন, ১০ কাঠা জমি বর্গা নিয়া শিম বুনছি। আমার ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হইছে। এপর্যন্ত ২১হাজার টাকার শিম বিক্রি করছি। আরো ১০-১৫ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারুমো। শিম বিক্রি কইরা ভাল ভাবেই সংসার চালাইতেছি। ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান বলেন, সবজির মধ্যে শিম হচ্ছে খুবই উপকারী সবজি কারণ হচ্ছে এর পুষ্টিমান বেশি পাশাপাশি শিম গাছের গোড়ার মধ্যে নডিউল থাকে, এই নডিউলটা মধ্যে সরাসরি কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে। যে ব্যাকটেরিয়া গুলো বাতাস থেকে নাইট্রোজেন নিয়ে নডিউল এর মধ্যে জমা রাখে এবং ব্যাকটেরিয়ার জীবনকাল যখন শেষ হয়ে যায় তখন মাটির সাথে মিশে যায়। এতে একদিকে পুষ্টিমান বেশি থাকে অন্য দিকে মাটির উর্বরতা শক্তি অনেক বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য শিম একটা ভাল উপকারী সবজি হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত। এবছর কৃষকরা শিম চাষে প্রচুর উৎপাদন হয়েছে ও যথার্থ দামে বিক্রি করতে পেয়ে কৃষকরা খুবই খুশি বলে জানান এই কর্মকর্তা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com