প্রেম স্বর্গীয়, প্রেম পবিত্র অথচ প্রেমের নামে প্রতারণা করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে স্বরূপকাঠি উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ আঃ রব মিয়ার ছোট মেয়ে সাদিয়ার বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় গত কয়েক বছর ধরে মঠবাড়িয়ার ধানিসাফা গ্রামের মোঃ ফারুক হোসেনের ছোট ছেলে সাথে একটা গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রেমিক মন প্রাণ দিয়ে অন্ধের মতো ভালবাসতো। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সোহাগদলের প্রেমিকা বি এম কলেজের সাবেক ছাত্রী সাদিয়া সুকৌশলে ছেলের কাছ থেকে সব কিছু লুফিয়ে নেয়। লেখা পড়ার খরচ সহ যাবতীয় খরচ মাসের পর মাসে নিয়ে নিতো প্রেমিকের কাছ থেকে। অন্ধের মতো সব কিছু উজাড় করে দিতো কলেজ পডুয়া সাদিয়ার জন্য। গত কয়েক বছর এভাবে চলতে থাকে উভয়ের মধ্যে অলিখিত স্বামী স্ত্রীর মতো গভীর সম্পর্ক। এদিকে গত ৩০ জানুয়ারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাদিয়ার সাথে ম্যাসেঞ্জারে লাইফে এসে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আমতলী উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এলাকায় এক ভাড়া বাসায় মোবাইল ফোনে লাইফে এসে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন। এদিকে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা হয় নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে। কান্নারত ভাষায় প্রধান কর্তা মিডিয়াকে বলেন, বরিশাল বিএম কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়াকালিন সময়ে একই ব্যাচের একই জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার উত্তর পশ্চিম সোহাগদল ইউনিয়নের এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। সোহাগদল গ্রামের মুদি মনোহারি দোকানদার আব্দুর রব মিয়ার ছোট মেয়ে সাদিয়া আক্তারের সাথে। উভয়ই উভয়ের সম্মতিতে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। নিহত প্রেমিক পরিবারের সদস্যরা আরও বলেন, সাদিয়ার পিতার আর্থিক অবস্থা আহমরি ভালো ছিল না। পড়াশোনার খরচ বহন করতে দারুণ হিমশিম খেতে হতো। কিন্তু আমাদের ছেলের সাথে পরিচয় হওয়ার পর পরই সাদিয়ার যাবতীয় খরচের ভারবহন করে ছেলে। আর এভাবেই দীর্ঘ ৬/৭বছর অতিবাহিত হতে থাকে উভয়ের প্রেমের জুটি। লাইলি মজনু,শিরি ফরহাদ ও আনারকলির মতো রোমান্টিক জুটি গড়ে বি এম কলেজ ক্যাম্পাসে। অথচ হীন স্বার্থের অধিকারী সাদিয়া যখন শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ন হয়ে খুলনা শহীদ জিয়া কলেজে চাকরি পান। আর তখনই পল্টি মারে মঠবাড়িয়ার প্রেমিকের সাথে। অতীত ইতিহাস ও স্বামী স্ত্রীর গভীর সম্পর্কের কথা বেমালুম ভুলে যায়। চরম ধিক্কার জানায় প্রেমিক পুরুষকে। মুহূর্তের মধ্যে খল নায়িকা হয়ে যায় চাকরি পাওয়ার পর পরই। কোন রকম ঘর সংসার করতে অপারগতা প্রকাশ করেন সাদিয়া। অতীতের সব কিছুকে ভুলে যেতে বলেন প্রেমিককে। চাকরি পেয়ে পারভেজকে বিয়ে করতে রাজি না হয়ে উল্টো তাকে এড়িয়ে চলতে থাকে নারী জাতির কলঙ্ক সোহাগ দলের সাদিয়া। এদিকে প্রশাসনের মাধ্যমে জানা যায়, প্রেমের কারণে ফেইসবুক লাইফে এসে আত্মহত্যার ঘটনা মাত্র। এদিকে মঠবাড়িয়া উপজেলার বেশির ভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, মানষিক চাপ ও প্রেমিকার কাছ লাঞ্চনা সহ প্রতারণার স্বীকার হওয়ার পর পরই মোবাইল লাইফে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এদিকে ঘটনার পর দিন সকালে আমতলী থানা পুলিশ পারভেজের? ভাড়া বাসার দরজা ভেঙ্গের তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। আমতলী থানা সূত্রের তথ্য মতে একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মৃতের পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।এব্যাপারে শহীদ জিয়া কলেজে কর্মরত শিক্ষক সাদিয়ার মুঠোফোনে একাধীকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। তবে স্বরূপকাঠি উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নে সাদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই বলে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন।এলাকার লোকজন আরও বলেন, সাদিয়ার পরিবার একটা চরম বিতর্কিত পরিবার। চরম দুর্দিনের কথা বেমালুম ভুলে যাওয়ার বহু অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ জলন্ত প্রমান মঠবাড়িয়ার প্রেমিক পুরুষ। চরম ঘৃণা জানিয়ে সুন্দর ধরণীর বুক থেকে চলে গেলেন একটা ুউজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এদিকে মঠবাড়িয়া ও স্বরূপকাঠি উপজেলার বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, সমাজে এজাতীয় ঘটনার জন্ম না হোক। স্বরূপকাঠীর সোহাগদলের সাদিয়ার মত লোভী মেয়ের কঠিন শাস্তির দাবী জানায় এলাকাবাসী।