ফরিদপুরের নগরকান্দায় মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে বিদেশ গিয়ে নিখোঁজ রয়েছে তিন যুবক। ১০ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ মুহিন মাতুব্বর ওরফে ফয়সালের পিতা উপজেলার বাবুর কাইচাইল গ্রামের মোঃ ফারুক মাতুব্বর । এ ঘটনায় দালাল চক্রের দুইজনকে গ্রেফতার করেছে নগরকান্দা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের ছোট নাওডুবি গ্রামের হান্নান মাতুব্বর(৫৫) এবং তারই পুত্র তুহিন মাতুব্বর(২৬)। এ প্রসঙ্গে রোববার সকালে থানা হলরুমে নগরকান্দা থানা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির আয়োজন করে। পুলিশ সুত্রে জানাগেছে এই ঘটনায় মোঃ ফারুক মাতুব্বর বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত দুইজনসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে নগরকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। যাহার নং ০৮/ তাং ০৬/০২/২২ ইং। মামলা বিবরণে জানাগেছে দালাল চক্রের সদস্যরা এবং ভুক্তভোগীরা পরস্পরের আত্মীয়। এরই সুযোগ নিয়ে প্রায় সময়ই লিবিয়া হয়ে ইতালিতে লোক পাঠানো প্রলোভোন দেখাতে থাকে এলাকার আতœীয় স্বজনদের কাছে। তাদের এই খপ্পরে পরে জনপ্রতি দশ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরই অংশ হিসেবে বাদীর ছেলে মোঃ মুহিন মাতুব্বর ওরফে ফয়সাল (১৯) আতœীয় নাজমুল ইসলাম ওরফে হোসেন(২৩) এবং ছামিউল শেখ(১৮)। এদেরকে ১৭/১১/২১ তারিখে দুবাই এবং ২৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখে লিবিয়াতে পৌছায়। এবং এই তারিখেই বিবাদীর লোকজন বাদীপক্ষের লোকজনের বাড়ীতে এসে ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এরপর ২৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ আরো ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাবী করে দালাল চক্রের লোকজন। তানাহলে লিবিয়া হতে ইতালিতে পাঠানো যাবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এরপর আরো টাকা নিয়ে যায় এই চক্রের লোকজন। কিন্তু ২৭ জানুয়ারী ফোনের মাদ্যমে ভুক্তভোগীরা স্বজনদের কাছে গোপনে ফোন করে তাদের দূর্বিসহ জীবন যাপনের বর্ণনা দেয়। এর পর থেকে আর তাদের সাথে কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে ফারুক মাতুব্বর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিল হোসেনের নেতৃত্বে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এস আই পিযুষ কান্তি হাওলাদার, মাসুদ আলম, সিরাজ হোসেন, শাহিন হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হান্নান মাতুব্বর কে নাওডুবি এবং তুহিন মাতুব্বরকে ভাঙ্গা উপজেলাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।