বরিশাল জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক সাধারন শ্রমিকদের উপর কথায় মারধর ও নির্যাতনের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের বাধা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে বরিশাল জেলা হোটেল রেস্তোরা সাধারন শ্রমিকবৃন্দের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। সোমবার (৭ই) জানুয়ারী সকাল ১১টায় নগরীর প্রাণকেন্দ সদররোডে প্রতিবাদ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এক প্রর্যায়ে হোটেল রেস্তোরার সাধারন শ্রমিকরা মানববন্ধন কর্মসূচির জন্য রাস্তায় অবস্থান নিলে বরিশাল জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল খান বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তারা কার অনুমতিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন তা জানার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। সাধারন শ্রমিকদের প্রতিবাদে বাধা দেওয়ার কারন কি এবিষয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল খান বলেন তারা ইউনিয়নের অনুমতি না নিয়ে মাববন্ধন করতে পারে না। হোটেল মালিক রুহুল আমিন হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক পদে কিভাবে দায়ীত্ব পালন করে তার জবাবে তিনি সঠিক কোন জবাব না দিয়ে বলেন আমরা সাংগঠনিকভাবে মঞ্জুকে মারার জন্য সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা করব বলে চলে যায়। এখানে হোটেল-রেস্তোরার সাধারন শ্রমিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তারেকুল ইসলাম তারেক, মোঃ নাসিম, মোঃ জুয়েল, মোঃ আবুল বাসার, মিজান হাওলাদার, মনির, সিপন, সিদ্দিক, জসিম প্যাদা পুমখ। এসময় নগরীর বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরার সাধারন শ্রমিক সদস্যরা তাদের সহপাঠি মঞ্জুকে গ্লাস ভেঙ্গে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা সহ প্রায় সময় ইউনিয়নের নেতারা যখন-তখন শ্রমিকদের মারধর ও নির্যাতন করে আসার পরও সাধারন শ্রমিক সদস্য নিরবে সয্য করে যচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন,গত ২ই ফেব্রয়ারী নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাটস্থ ভোজনবাড়ি বিরানী এন্ড হাউজের মালিক ও বরিশাল জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনয়নের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের কাছে মঞ্জু নামের হোটেল শ্রমিক তার কাজের বকেয়া ১৮০০ টাকা দাবী করা হলে রুহল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে ভাত খাওয়া অবস্থায় গ্লাস ভেঙ্গে মঞ্জুর মাথায় আঘাত তরে করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে মঞ্জুকে অন্য সকল সদস্যরা তাকে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ও হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনকে মামলা থেকে রক্ষ করার জন্য মহানগর শ্রমিক লীগের সহায়তায় হাসপাতাল থেকে নাম কাটিয়ে মঞ্জুকে সরিয়ে নিয়ে যাবার অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন বর্তমান হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে মেয়র মহাদয় নাকি এই সংগঠনের নেতা তার পরিচয় বিক্রি করে তাদের উপর অত্যাচার করেন। এব্যাপারে বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক পরিমল দাশের সাথে মুঠো ফেনে আলাপকালে তিনি জানান বিসিসি মেয়র মহাদয় হোটেল-রেস্তোরা শ্রমিক ইউনিয়নের কেহ না। হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ওরা কমিটি করে মেয়রকে দিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করায়। তিনি আরো বলেন আমাদের মেয়র কোন অণ্যায়ভাবে শ্রমিক নির্যাতনের পক্ষে কাজ করেন না। এছাড়া তার নাম পরিচয় ব্যবহার করে কেহ মালিক পক্ষের সাথে অণ্যায়-আচরন করে থাকে সেই ধরনের অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখতেছি। এব্যাপারে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ এখলাচুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রুহুল আমিন হোটেল মালিক হবার পূর্বেই শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদকের দায়ত্বে আসেন। সে এখন মালিক হবারপর সংগঠন থেকে ৫মাসের ছুটিতে আছেন। এছাড়া আমাদের সভাপতি ভাওফলে নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় তিনি এলাকায় অবস্থান করায় আমরা তাকে ছাড়া কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারছি না। অন্যদিকে রুহুল আমিন কর্তৃক মঞ্জুকে মারধরের ঘটনায় আমার তার সকল চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করা সহ সকল খরচ করেছি। এবং এই ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান করা হবে। অপরদিকে হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আলহাজ নুরুল ইসলাম বলেন, ইতি পূর্বে আমরা মালিক পক্ষরা সদররোডে মানববন্ধন পালন করার কর্মসূচি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পরবর্তীতে বিশেষ কিছু লোকের কথায় আমরা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। এরা প্রায় সময় হোটেলে এসে শ্রমিক কর্মচারীদের মারধর নির্যাতন করে মালিক পক্ষের সাথে সাধারন শ্রমিকদের মধ্যে এক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে তার মধ্যে তারা নগরীর এক বিশেষ ব্যাক্তির নাম ব্যবহার করে আমাদের মধ্যে ফাটল ধরিয়ে তারা ফায়দা নেওয়ার কাজে লিপ্ত রয়েছে।