গাজীপুরর কালিয়াকৈর উপজলার চাপাইর এলাকায় কয়েক যুগ আগে স্থাপিত হয় তুরাগ নদীর ওপর একটি বেইলী ব্রীজ। যা মাঝে মাঝে ভেঙ্গে পড়লেও মেরামতের ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ। এতে ঝুঁকি নিয়েই চলছে ছোট বড় অনেক যানবাহন। দেখা গেছে বাঁশের বেড়া দিয়ে ব্রীজ বন্ধ রেখে বার বার কোন রকম মেরামত করায় চরম দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। সাধারণ পথযাত্রীদের অভিযোগ, শুধু ব্রীজের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ সাইবোর্ড টানিয়ে দায় সারলেও ভারি ওজনের যানবাহনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সড়ক সংশ্লিষ্টরা। ফলে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। সাধারণ পথযাত্রীদের সাথে ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানাযায়, ঢাকা-ধামরাই টু কালিয়াকৈর-মাওনা রাস্তাটি ব্যস্ততম একটি আঞ্চলিক সড়ক। এ সড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর এলাকায় তুরাগ নদীর ওপর বেইলি ব্রীজটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে বৃদ্ধ লোকের নরভরা দাঁতের মত কোন রকম দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়াও ব্রীজটি জুড়ে রয়েছে শত শত লোহার জালাই দিয়ে কোন রকম ধরে রাখার চেষ্টা। ‘ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রীজ ৫ টনের অধিক যানবাহন চলাচল নিষেধ’ এমন সাইনবোর্ড টানিয়েই যেন দায় সেরেছে আদর্শ ক্রম স ও জ কর্তপক্ষ। এমন সাইনবোর্ড দেয়া থাকলেও। কে দেখে সাইনবোর্ড? আর কে শুনে কার কথা? কর্তপক্ষের নির্ধারিত ওজনের চেয়েও ৮-১০ গুন বেশি ভারি যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করছে। ওই ব্রীজের পাশেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাফ অফিস থাকলেও তাদের যেন কিছুই করার নেই। অতিরিক্ত ওজনের এসব ভারি যানবাহন চলাচল করায় ব্রীজের নাট-বল্টু ডিলে যাচ্ছে ও ভেঙ্গে পড়ছে ডেকিং ও পাটাতন। সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করলেও কয়েক দিন যেতে না যেতেই আবারও ব্রীজটি আগের মত অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ গত শনিবার সকালে ব্রীজটি যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে। পরে দুপুর থেকে দুপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে ব্রীজটি বন্ধ রেখে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত শুরু করে সড়ক বিভাগ। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে চরম দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। আগে থেকে ব্রীজ বন্ধর বিষয়টি না জানানোর কারণে প্রায় ৩০কিলোমিটার ঘুরে যান চলাচল করতে দেখা যায়। সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন রোগী ও তার স্বজনরা। গত রবিবার সকালে বাঁশের বেড়া খুলে দিলেও বিকেল পর্যন্ত ব্রীজের মেরামত কাজ চলে। তবে শুধু সাইনবোর্ড টানিয়ে দায় শেষ ও দীর্ঘস্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করায় বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছে পথচারীরা। অটোচালক, ভ্যান,পথচারী ও গাড়ী চালকের সাথে কথা বলে জানাযায়, কয়েক দিন পর পর ব্রীজ ভেঙ্গে পেেড় এবং ব্রীজ বন্ধ করে জোড়াতালি দিয়ে আবার গাড়ী ছাড়ে সড়ক বিভাগ। সে সময় আমরা গাড়ী চালাতে পারি না। তখন আমাদের সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। দেখেন পাশেই সফিপুর-বড়ইবাড়ি সড়কের কাজ চলমান থাকায় সব গাড়ি এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। এতে ব্রীজটি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কর্তপক্ষ শুধু ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেন না। ৫ টনের বেশি গাড়ি চলাচল নিষেধ থাকলেও ৮-১০ টনের বেশি লোড নিয়ে বড় বড় ট্রাক চললেও কিছু বলছে না সংশ্লিষ্টরা। যার কারণে কয়েকদিন যেতে না যেতেই ব্রীজটি আবার ভেঙ্গে পড়ে। অপর পথচারী লিটন সরকার বলেন, কিছু না বলে হঠাৎ করে ব্রীজ বন্ধ করে দেওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন রোগী ও তার স্বজনরা। এ বিষয় বক্তব্য নেয়ায় জন্য গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিপ করেনি। কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, ওই ব্রীজটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ। সড়ক বিভাগের সাথে আলোচনা করে মেরামতের মাধ্যম ব্রীজটি সচল রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ওই ব্রীজ দিয়ে নির্ধারিতর চেয়ে বেশি ওজনের যানবাহন যাতে না চলাচল করতে পারে, সে জন্য আমরা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নিবো।