সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে এমন আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই ক্ষমতায় থাকবে। সংবিধান সম্মতভাবে যথাসময়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ আবারও রাষ্ট্র পরিচালনায় থেকে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে জয় আমাদের হবেই। গতকাল শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন, সার্চ কমিটি এবং নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে কাদের এ বিবৃতি দেন।
‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে মামলা ও বিচার হওয়া উচিত’— মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য ‘গণতন্ত্রের রীতিনীতি ও মূল্যবোধ পরিপন্থী’ বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন শুধু একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের জন্য রেগুলেটরি বডি বা রেফারির মতো। খেলায় কোনও দল খারাপ খেললে অনেক ক্ষেত্রেই তারা রেফারিকে দোষারোপ করে। খেলায় পরাজিত হয়ে অথবা খেলায় অংশ গ্রহণ না করে রেফারিকেই দোষারোপ করা বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপি নির্বাচনী মাঠে অংশগ্রহণ না করায় বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অপকৌশল গ্রহণ করায় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনে যদি কোনও ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়ে থাকে তার দায়ভার বিএনপিকেই নিতে হবে। একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির প্রতি তোয়াক্কা না করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করার জন্য বিএনপি’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে আমরা মনে করি।’
আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রকেই প্রতিনিধিত্ব করে কাদের বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই কমিশনের প্রতিটি সিদ্ধান্তই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। তাই নির্বাচন কমিশনের প্রতি এরূপ অসৌজন্যমূলক আচরণ দেশের সংবিধান পরিপন্থী। যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেউ না কেউ সংক্ষুব্ধ হতে পারে। কিন্তু সে সংক্ষুব্ধতা প্রকাশের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি রয়েছে। সে পথে না গিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ জাতীয় বিষোদগার রাষ্ট্র, সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভিত্তিমূলে আঘাত।’
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, খুনি-যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক বিএনপি ধারাবাহিকভাবেই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত; তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ভ্রষ্ট নীতি গ্রহণ করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে বিএনপি গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এবং সাংবিধানিক বিধান ও আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপি’র প্রতি জনগণের কোনও আগ্রহ নেই। তাই জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত বিএনপি সার্চ কমিটির প্রতি বিরূপ মন্তব্য ও লাগাতার অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com