রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় বাঘ পরিবারে নতুন দুই অতিথির আগমন ঘটেছে। গত বছরের ১৫ অক্টোবর কদম-শিউলি জুটি উপহার দিয়েছে ফুটফুটে দুটি কন্যা শাবক। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা গেছে, মা শিউলির সঙ্গে থেকেই বেড়ে উঠছে শাবক দুটো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনই দর্শনার্থীদের সামনে প্রদর্শন করা হচ্ছে না নতুন অতিথিদের। বয়স সাড়ে তিন মাস পার হলেও নামকরণ করা হয়নি শাবক দুটোর। মা শিউলির সঙ্গে আরও দুই মাস থাকার পরে দর্শনার্থীদের সামনে প্রদর্শনের পরিকল্পনা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের, তখনই করা হবে নামকরণ। শাবকদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের বাবা পুরুষ বাঘ কদম আছে পৃথক খাঁচায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুস্থ আছে শাবক দুটো। মানুষ দেখে এখন কিছুটা ভয় পাচ্ছে তারা। বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলেই দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন শাবক দুটি।
চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতিফ জাগো নিউজকে বলেন, শাবক দুটি ভালো আছে। ২১ দিন পর পর তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে শাবক দুটিকে রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থায়। খাঁচায় বৈদ্যুতিক হিটার এবং মেঝেতে খড় বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভাইরাস-জীবাণু থেকে রক্ষা করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
আব্দুল লতিফ জানান, শাবকদের মশা-মাছি থেকে নিরাপদ রাখতে খাঁচার চারপাশে নেটিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সকাল ৭টা থেকে ৮টায় ও বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে দুবার খাঁচার চারপাশে অ্যান্টিভাইরাস স্প্রে করা হচ্ছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে মারা যায় বাঘ শাবক দুর্জয় ও অবন্তিকা। তারা বাঘ যুগল টগর ও বেলির সন্তান। জন্মের ছয় মাস পর গত ২০ নভেম্বর দুপুর আড়াইটায় দুর্জয় এবং পরদিন সকাল সাড়ে ৭টায় অবন্তিকার মৃত্যু হয়। জাতীয় চিড়িয়াখানা সংশ্লিষ্টরা জানান, মাছিবাহিত রোগে ওই দুই বাঘ সাবকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের চিকিৎসাও শুরু করা হয়ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বাঘ শাবক দুটি বাঁচানো যায়নি।