শীতের খোলস ছাড়িয়ে নবরূপে সেজেছে বৃক্ষরাজি। ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতে প্রকৃতিতে যেন রঙে আগুন লেগেছে ফাগুনে। শুষ্ক আবহাওয়ায় চারিদিকে নজর কাড়ে সবুজের সমাহার। আর সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়েছে সোনালী রঙের আমের মুকুল। এই মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধে মুগ্ধ হয়ে উঠেছে সাদুল্লাপুরের মানুষেরা। সোমবার দেখা গেছে, গাইবান্ধার সাদুল্লারপুর উপজেলার নিভৃত গ্রামাঞ্চলের বাসা-বাড়িতে রোপণ করা আম গাছগুলোতে ফুটেছে আমের মুকুল। শুধু বাসা-বাড়িতেই নয়, অনেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন আম বাগান। এছাড়া অফিস-আদালত কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছেও দোলা দিচ্ছে মুকুল। প্রকৃতির খেয়ালে স্বর্ণালিরূপ ধারণ করেছে আবহমান গ্রামবাংলা। জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি আমগাছে আশানুরূপ মুকুল আসতে শুরু করেছে। এবারে এসব মুকুল থেকে বেশি পরিমাণ পরিপক্ক আম পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যে গাছগুলোতে ওষুধ প্রয়োগসহ নানামুখী পরিচর্যা প্রহণ করছে। মেহেদুল ইসলাম বলেন, সাদুল্লাপুর উপজেলার এমন কোন বাড়ি নেই যে, যাদের বাড়িতে আমগাছ নেই। তাই প্রতিটি বাড়িতে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়ছে আমের মুকুল। শুধু আমের মুকুলই নয়, কাঁঠাল, লিচু লেবু প্রভৃতি ফলের গাছের ফুলের গন্ধে চারিদিকে সুবাতাস বইছে। এসব মুকুলে সুবাস যেন মুগ্ধ করে তুলেছে মানুষকে। কৃষক আকবর হোসেন জানান, কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে আমচাষ করেন। বিদেশি জাতের আমগাছগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুকুল এসেছে। এবারে আবহাওয়া অনুকুল থাকলে বাম্পার ফলন পাওয়া যেতে পারে। প্রত্যাশামূলক ফল পেতে সঠিক যতœ নিচ্ছেন গাছগুলোর। সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মতিউল আলম উদ্দিন জানান, এ জেলার মাটি আম গাছের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ এলাকায় কয়েকজন কৃষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আম চাষ করেছেন। তাদের বাগানে বেশ মুকুল দেখা দিয়েছে। তারা যেন লাভবান হতে পারে, সেদিকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।