গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসেছে কোভিড-১৯ টিকার নিতে। দ্বিতীয় ডোজের এই টিকা নিতে এসে শিক্ষার্থীরা নানা বিড়ম্বনায় পড়েছে। টিকা কেন্দ্রে জনবল সংকটের কারণে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় করতে হচ্ছে তাদের। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের চরম ক্ষুব্ধতা বিরাজ করছে। সরেজমিনে সোমবার সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে দেখা গেছে সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীর উপচে পড়া ভিড়। সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস থেকে স্কুল-কলেজ-মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা রাখতে তাদের কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সাদুল্লাপুর উপজেলার ১২-১৭ বছর বয়সের শিক্ষার্থীর প্রথম ডোজে টিকা প্রদান করা হয়। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ৬৬টি স্কুলের ১৯ হাজার ২৮৯ জন, ৪২টি মাদরাসার ৪ হাজার ২৬৫ জন ও ১৪টি স্কুল এ- কলেজ পর্যায়ের ৯৩০ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ১২২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৪ হাজার ২৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রথম ডোজে টিকা গ্রহণ করে। এ সকল শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া শুরু করা হয়েছে। এ টিকা নিতে অতি আগ্রহে উপস্থিত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা প্রদানে জনবল কম থাকায় শিক্ষার্থীদের ঘন্টার পর ঘন্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এমন অস্থির অবস্থায় কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী টিকা না নিয়ে বাড়ি ফিরছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে। লিজা খাতুন নামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে প্রায় ১২ কিলোমিটর দুর থেকে আসা হয়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর টিকা ফেরৎ যেতে হচ্ছে। জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্টদের নির্দেশে যথা সময় দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের আনা হয়। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ সম্পন্ন হয়নি। সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম ম-ল বলেন, শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা প্রদানে যতেষ্টভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।