অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় পাবনার মুনসুরাবাদ উপশহরে অবস্থিত ইভিনিং টাচ-২ থেকে ২যুবক ও ২ যুবতীকে আটক করেছে পাবনা ডিবি পুলিশ। পাবনা ডিবি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ জিন্নাত সরকার জানান, তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে মুনসুরাবাদ আবাসিক এলাকায় অবস্থিত রাফশা প্লাজা ভবনে হোটেল ইভিনিং টার্চ মুনসুরাবাদ শাখায় স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ সেখানে রুম ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হত। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার দুপুরে পাবনা ডিবি পুলিশের একটি অভিযান দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় হোটেলের কর্মকর্তা কর্মচারীরা পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ডিবি পুলিশ বিভিন্ন রুমে তল্লাশি চালিয়ে ২জন ছেলে ও ২জন মেয়েকে আটক করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা সেখানে অবস্থানের সঠিক তথ্য দিতে না পারায় তাদেরকে পাবনা থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। থানা পুলিশ পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন পুর্বক পাবনা কোর্ট হাজতে প্রেরন করে। আটককৃতরা হলেন, আতাইকুলা থানার একদন্ত শিবপুর গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ শান্ত হোসেন(১৯) ও একই থানার তেলকুপি গ্রামের তোয়াজ উদ্দিন প্রাং এর ছেলে মাসুদ রানা(২৪)। আটককৃত মহিলাদের স্বামী প্রবাসি হওয়ায় সঙ্গত কারনে নাম পরিচয় গোপন করা হলো। স্থানীয়রা আরো জানান, পুলিশের অভিযান টের পেয়ে অনেকে পাশের ফ্লাটে আত্মগোপন করেন। অভিযান দল চলে যাবার পর অনেক পুরুষ ও মহিলাকে সেই ফ্লাটের ভেতর থেকে বের হয়ে নিরাপদে চলে যেতে দেখা যায়। পাবনা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোঃ জিন্নাত সরকার জানান, অসামাজিক কাজ যেখানেই হোক না কেন, খবর পেলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ডিবি পুলিশ ২জন পুরুষ ও ২জন মহিলাকে আমাদের কাছে হস্তাস্তর করেছে। যাচাই বাছাই শেষে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে আবাসিক এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রাফসা টাওয়ারে অবস্থিত ইভিনিং টার্চ টুতে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী অবস্থান করে। এতে করে সাধারণ বাসিন্দারা জিম্মি হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করা তাদের জন্য দুরুহ হয়ে পড়েছে। নিরাপদে বসবাস করতে তারা পুলিশ প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।