আধুনিকরণ নির্মানাধীন চিলাহাটি রেল ষ্টেশনের কাজ ১৫ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। কাজটি বন্ধ হওয়ায় জরাজির্ন প্লার্টফ্রমে ট্রেনে নামা উঠায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে যাত্রী সাধারন। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংঙ্খা করেছে স্থানীয় সুধী মহল। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগের পর ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর মালবাহী ও ২০২১ সালের ২৭ মার্চ যাত্রীবাহী রেলগাড়ী চলাচলের উদ্ভোধন করেন দুই দেশের সরকার প্রধান। চিলাহাটি রেল ষ্টেশনে ভবন না থাকায় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও মালবাহী ট্রেনে ভারত থেকে নিয়মিত পাথর নিয়ে আসছে। বাংলাদেশের মংলা পোর্ট হয়ে ভারতের উত্তরপূর্ব অংশ নেপাল এবং ভুটানের মধ্যে আমদানী ও রপ্তানী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো মনোন্নয়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সুবিধা জোরদারের লক্ষে চিলাহাটি রেল ষ্টেশনকে আধুনিকরণ করার লক্ষে দ্বিতল আধুনিক ভবণ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই সূত্র ধরে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আধুনিক ভবণ নির্মাণের ভিত্তি দেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাসট্রাকচার ষ্টেশনের মূল দ্বিতল আধুনিক ভবণ নির্মাণের জন্য ১৭৫টি পাইলিং কাজের পর পাইলক্যাপের উপর ৯২টি পিলারের রড দাড় করে রাখে। ভবনটি নির্মানের অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সমস্ত কাজ বন্ধ করে রাখে। কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে সঠিক ভাবে কেউ বলতে পারেনী। দীর্ঘ ১৫ মাস থেকে কাজ গুলি বন্ধ থাকায় মূল ভবণের পিলারের রড গুলি মরিচা ধরে জরাজির্ন হয়ে পরে। অপর দিকে প্লার্টফ্রমের একটি অংশ কেটে গর্ত করে রাখায় ট্রেন গুলি ঝঁকিপূর্ন অবস্থায় চলাচল করছে।