মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী এ্যাড. শ.ম রেজাউল করিম এমপি (পিরোজপুর-১) বলেছেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে,এদেশটা স্বাধীন না হলে আমাদের অস্তিত্ব থাকত না। এই দেশে স্বাধীনতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে ভূমিকা, শহীদদের ভুমিকা, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সৈনিকরা আত্ম উৎসর্গ করেছিলো, ভারতের প্রায়ত প্রধানমন্ত্রী শ্রী মতি ইন্দ্রীরা গান্ধির যে অবদান। তৎকালীন সময় রাশিয়া তাদের যে ভুমিকা ছিল এটা আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। বৃহস্পতিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টায় নাজিরপুর উপজেলা স্বাধীনতা মঞ্চ চত্বরে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ নিয়ে শিক্ষক ও সাংবাদিক সঞ্জীব কুমার রায়ের একক সংগৃহীত এবং সম্পাদিত তথ্য ও আলোকচিত্র সমৃদ্ধ ৫ শতাধিক অ্যালবাম বইয়ের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তববে তিনি এ কথা বলেন। নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ্ সাদীদ এর সভাপতিত্বে ও শিক্ষক স্বপণ কুমার বিশ্বাস এর সঞ্চালনায় প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ, জেলা পরিষদ সদস্য সুলতান মাহামুদ খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান শাহরিয়ার ফেরদৌস রুনা, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির, সেখমাটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু, দেউলবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাস্টার মোঃ ওয়ালিউল্লাহ্, সাউদার্ণ জার্নালিস্ট ইউনিটির সভাপতি কে এম সাঈদ, সহ-সম্পাদক জ্যোতিষ চন্দ্র হালদার প্রমূখ। এসময় শিক্ষক ও সাংবাদিক সঞ্জীব কুমার রায় তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পুর্তির অপেক্ষায় আমি ২৫ বছর যাবৎ কালো পোশাক পড়ে আছি, আমি একজন বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক, আমার জীবনে একটু ভিটে মাটিও ক্রয় করতে পারি নাই, এখনও পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকি। তখন তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে আরো বলেন আমার ছেলে মেয়েদের জন্য এই লাইব্রেটি-ই রেখে গেলাম যেখান থেকে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারবে, আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা আমি যেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সাথে এ নিয়ে একবার দেখা করতে পারি।