শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়ে বৃহস্পতিবার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬২ রানে হারিয়ে দিলো ভারত। লখনউয়ে ম্যাচ জিততে কোনও অসুবিধাই হলো না রোহিত শর্মার দলের। ঈশান কিশন এবং শ্রেয়স আয়ারের ব্যাট হাতে দাপট ভারতকে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দিল। ইডেনে গার্ডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারত চুনকাম করেছিল ঠিকই। কিন্তু প্রতিটি ম্যাচেই ক্যারিবিয়ানরা লড়াই দিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে তো আর একটু হলে জিতেই গিয়েছিল। কিন্তু এই শ্রীলঙ্কাকে দেখে যথেষ্ট সন্দেহ থাকতে পারে যে তারা আদৌ ভারতকে একটি ম্যাচেও লড়াই দিতে পারবে কিনা। এমনিতেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১-৪ হেরে এসে দলের আত্মবিশ্বাস তলানিতে। তার ওপর সিরিজ থেকেই ছিটকে গিয়েছেন দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র ওয়ানিন্দু হসরঙ্গ।
টসে হেরে পিচ থেকে সুবিধা পেতে চেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা। কিন্তু প্রথম থেকেই তার বোলাররা এলোমেলো বোলিং করা শুরু করলেন। ঈশান কিশন এবং রোহিত শর্মার মতো দুই মারকুটে ওপেনারকে আউট করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। উল্টা রোহিত এবং ঈশান শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ে যেন ছেলেখেলা শুরু করলেন। মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে উড়ে গেল বল। জুটি এক সময় ৫০ এবং ১০০-ও পেরিয়ে গেল। ঈশান আগেই অর্ধশতরান করে ফেলেছিলেন। সেই দিকে এগোচ্ছিলেন রোহিতও। কিন্তু লাহিরু কুমারার একটি বলের গতি বুঝতে না পেরে ঠকে গেলেন। ফিরলেন ৪৪ রানে।
তিনে নামা শ্রেয়স আয়ার প্রথম থেকেই শ্রীলঙ্কার বোলারদের ওপর চড়াও হলেন। ঈশান তো সাথে ছিলেনই। শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ বাড়ল। ক্রিকেটজীবনের প্রথম শতরান ঈশান বৃহস্পতিবারই পেতে পারতেন। কিন্তু শনাকার বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেট লিনায়েগের হাতে ক্যাচ দিলেন। এর পর চালকের আসনে বসলেন শ্রেয়স। ২৫ বলেই তার অর্ধশতরান হয়ে গেল। মাত্র এক রানের জন্য ২০০ ছুঁতে পারল না ভারত। কিন্তু সেই রানই যথেষ্ট ছিল শ্রীলঙ্কার সৌজন্যে। ভুবনেশ্বরের প্রথম বলেই ফিরলেন পাথুম নিসঙ্ক। বল তার ব্যাটে লেগে পায়ে লাগে। গড়িয়ে সেই বল ফেলে দেয় বেল। সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এই আউট দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর নিজেই। নিজের পরের ওভারেই তিনি তুলে নিলেন কামিল মিশারাকে। এরপর বেঙ্কটেশ আয়ার এবং রবীন্দ্র জাডেজা তুলে নিলেন জনিত লিনায়েগে এবং দীনেশ চন্ডীমালকে। পরের দিকে গিয়ে শ্রীলঙ্কার মধ্যে রান তোলার কোনো আগ্রহই দেখা গেল না। হাতে উইকেট থাকলেও শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা যেন পুরো ওভার খেলার সঙ্কল্প নিয়ে নেমেছিলেন। রান রেট ওভারপ্রতি ২০-র উপরে উঠে যাওয়ার পরেও কোনো তাড়া নেই! তবে রোহিতকে চিন্তায় রাখবে ক্যাচ ফেলার রোগ। বৃহস্পতিবারও দুই আয়ার, বেঙ্কটেশ এবং শ্রেয়স দু’টি সহজ ক্যাচ ফেললেন। সেগুলো নিলে অনেক আগেই ভারতের জিতে যাওয়ার কথা। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা