মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন

অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে কিয়েভ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশ মিশনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
ইউক্রেনে সংঘটিত যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সে দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সহায়তা করার জন্য পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও অস্ট্রিয়া মিশনকে সতর্ক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই তিন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসকে দেওয়া সরকারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আটকে পড়া বাংলাদেশিরা পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও মলডোভাÍযেখান দিয়ে সুবিধা সেখান দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছে। ইউক্রেন থেকে আসা বাংলাদেশিদের সব ধরনের কনস্যুলার ও অন্যান্য ধরনের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও সামাজিক মাধ্যমের সহায়তায় বাংলাদেশিদের এ বিষয়ে জানানোর জন্যও বলা হয়েছে।
‘অভুক্ত পেটে কিয়েভ ছাড়ার অপেক্ষায় লাখো মানুষ’ : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ছাড়তে মরিয়া মানুষ। ধীরে ধীরে সড়কগুলো ব্লক হয়ে যাচ্ছে। তাই ভরসা ট্রেন। এই মুহূর্তে মানুষ ভিড় করেছের রেল স্টেশনে। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় আমি স্টেশনে আসি। দুপুর আড়াইটার ট্রেনে উঠার জন্য ইতোমধ্যে স্টেশনে লাখো মানুষ জড়ো হয়েছেন। কিয়েভ থেকে মানবজমিনকে এমনটাই বলেন মইন আহমেদ। তিনি বলেন, দু’দিন থেকে ঘুম নেই। গতকাল রাতে শেষ খেয়েছি। এরপর সব দোকান বন্ধ। আমরা জীবন নিয়ে বাঁচার জন্য এখন কিয়েভ ছেড়ে লিবিবে যাচ্ছি। সেখান থেকে পোল্যান্ডে যাবো। এখন ট্রেনে উঠতে পারার চ্যালেঞ্জ। সরকার ট্রেন, ট্রাম সব বিনামূল্যে চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে। আর ট্রেনে উঠতে না পারলে কি করব তাই ভাবছি। এখন পর্যন্ত খাওয়ার কোন ব্যবস্থা করতে পারিনি। আবার ট্রাক্সিতে ভাড়া চাচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ ডলার। এতো ডলারও সঙ্গে নেই।
মইন আহমেদ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। তিনি কিয়েভের যাইতোমার পলিটেকনিক্যাল স্টেট ইউনির্ভাসিটিতে অধ্যয়নরত। তারা এখন একসঙ্গে তিনজন বাংলাদেশি রয়েছেন। মইন বলেন, স্টেশনে আসার সময় দেখেছি ধোয়া। ভয় এবং শঙ্কায় আছেন পুরো কিয়েভের মানুষ।
আত্মসমর্পণ না করে মৃত্যুকে বেছে নিল ইউক্রেনের ১৩ সেনা: রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ না করে মৃত্যুকে বেছে নিলেন ইউক্রেনের ১৩ সেনা কর্মকর্তা। কৃষ্ণ সাগরের ছোট্ট দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডে দায়িত্বপালনকালে আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানানোয় রাশিয়া বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করে। খবর বিবিসি ও ইন্ডিপেন্ডেন্টের। সেনাদের এই বীরত্বের ভূয়সী প্রসংসা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ ছাড়া বীর এই সেনাদের মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেওয়ার পর স্নেক আইল্যান্ড অবরোধ করে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ। সেখানে দায়িত্বপালন করছিলেন ইউক্রেনের ১৩ সেনা। রুশ সেনারা ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায়। কিন্তু ইউক্রেনের ওই ১৩ সেনা আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এর পরই সেখানে বোমা হামলা চালায় রুশ সামরিক বাহিনী এবং ১৩ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হন।
এদিকে বোমা হামলায় নিহত হওয়ার আগে যুদ্ধজাহাজে অবস্থানরত রুশ সেনাসদস্যদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাদের শেষ মুহূর্তের কথোপকথনের একটি অডিওক্লিপ টুইটার, টিকটকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোতে ভাইরাল হয়েছে।
সেখানে রুশ যুদ্ধজাহাজ থেকে ইউক্রেনের সেনাদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, আমি আপনাকে আপনার অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণের পরামর্শ দিচ্ছি, না হলে আমি গুলি চালাব। আপনি কি আমার কথা শুনতে পেয়েছেন? জবাবে ইউক্রেনের সেনারা আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই সেনাকে বলতে শোনা যায়, মর তোরা। এরপর রাশিয়ার বোমা হামলায় তারা সবাই নিহত হন। এ ঘটনায় ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, স্নেক আইল্যান্ডে তারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। আত্মসমর্পণ না করে তারা সবাই বীরত্বের সঙ্গে মৃত্যুকে বরণ করেছেন। হিরো অব ইউক্রেন (ইউক্রেনের বীর) হিসেবে তাদের সবাইকে মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া হবে। দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করায় চিরস্থায়ী এই পুরস্কার পাবেন তারা।
অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে কিয়েভ: রুশ অভিযানের দ্বিতীয় দিনেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজধানী শহরটি রাতভর ভয়াবহ রকেট হামলার শিকার হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার সরকারের কাছে তথ্য রয়েছে যে ‘বিধ্বংসী গ্রুপ’ কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, শহরটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়তে পারে। এর আগে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, রুশ অভিযানে তার দেশের ১৩৭ জন সেনা ও বেসামরিক নিহত হয়েছে। তবে এই হিসাব কিয়েভে রাতভর হামলা চলার আগের।
রুশ বাহিনী কিয়েভ অভিমুখের সব সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন বিমান ঘাঁটি এবং সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর সড়কগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী।
রাজধানীতে হামলা শুরুর পর কিয়েভের হাজার হাজার বাসিন্দা বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন কিংবা শহর ছেড়ে পালিয়েছেন। কিয়েভ থেকে দশ কিলোমিটার দূরে ইউক্রেনের প্রধান বিমানবন্দর হোস্টোমেলের নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, শত্রু গ্রুপ ইতোমধ্যে শহরে ঢুকে পড়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ অগ্রযাত্রা ঠেকাতে সামি শহরে তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিয়েভ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের এই শহরে তীব্র লড়াইয়ের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।
সবাই ভীত, রাশিয়ার বিরুদ্ধে একা লড়ছি আমরা: যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো মিত্রদের সমালোচনা করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই তার দেশকে একাই করতে হচ্ছে। সবাই ভীত। শুক্রবার ভোরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আজ (গতকাল শুক্রবার) সকালে আমরা একাই দেশকে রক্ষায় লড়ছি। গতকালের মতো বিশ্বের শক্তিধর দেশ দূর থেকে দেখছে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের মাটি থেকে এই বিদেশি সেনাদের তাড়িয়ে দিতে এটিই যথেষ্ট নয়। শুধু সংহতি ও দৃঢ়তার মাধ্যমে তা অর্জিত হতে পারে। ইউক্রেনের জনগণ সত্যিকার সাহসিকতা দেখাচ্ছে। বেশিরভাগ পথে শত্রুদের আটকে দেওয়া হয়েছে। লড়াই চলছে… আমরা ক্লান্ত হবো না। জেলেনস্কি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রকে রক্ষায় আমরা একাই আছি। আমাদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে কে প্রস্তুত? আমি কাউকে দেখি না। ন্যাটোর সদস্যপদের নিশ্চয়তা দিতে কে প্রস্তুত আছে? সবাই ভীত।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া রুশ হামলার প্রথম দিনে ইউক্রেনের সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে ১৩৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩১৬ জন।
জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার ‘স্যাবোটাজ গ্রুপ’ রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে। তিনি শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক ও কারফিউ মেনে চলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘শত্রুরা আমাকে এক নম্বর টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করে মেরে ফেলতে চায়। আমার পরিবার দুই নম্বর টার্গেট। তারা রাষ্ট্রের প্রধানকে ধ্বংস করে রাজনৈতিকভাবে ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে চায়। আমি রাজধানীতেই থাকবো। আমার পরিবারও ইউক্রেনে থাকবে।’
চেরনোবিলে তেজস্ক্রিয়তা বেড়েছে: ইউক্রেনের পারমাণবিক শক্তি জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, পরিত্যক্ত চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে গামা তেজস্ক্রিয়তা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনী কেন্দ্রটি দখলের পর এই তেজস্ক্রিয়তা বৃদ্ধি শনাক্তের কথা জানালো সংস্থাটি। শুক্রবার মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এই খবর জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থার পরিদর্শক শুক্রবার জানায়, চেরনোবিল অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গামা তেজস্ত্রিয়তা শনাক্ত হয়েছে। তবে এই মাত্রা বৃদ্ধি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সংস্থাটি শুধু উল্লেখ করেছে, বর্জনীয় এলাকায় ব্যাপক ভারী সামরিক সরঞ্জামের উপস্থিতির কারণে মাটির উপরের স্তরে ব্যাঘাত ঘটছে এবং এর ফলে দূষিত তেজস্ক্রিয় ধূলিকণা বায়ুতে ছড়াচ্ছে। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তুমুল লড়াইয়ের পর পারমাণবিক কেন্দ্র ও এর আশপাশের বর্জনীয় এলাকার দখল নিয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ জানান, রাশিয়ার বিমান বাহিনীর সেনারা যেকোনও সম্ভাব্য উসকানি ঠেকাতে কেন্দ্রটিকে সুরক্ষিত রাখছে। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রটির তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
ভিয়েনাভিত্তিক আন্তর্জাতিক আণবিক জ্বালানি সংস্থা জানিয়েছে, কেন্দ্রটি দখলের বিষয়ে ইউক্রেন তাদের অবহিত করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কথা জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, বিশ্বের ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল এই চেরনোবিলে। এটি চেরনোবিল বিপর্যয় নামে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। ১৯৮৬ সালের এপ্রিলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। একটি পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর বিস্ফোরিত হলে এই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। ফলে ইউরোপজুড়ে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী কিয়েভ থেকে উত্তর দিকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে এই কেন্দ্রটি অবস্থিত।
কিয়েভে ট্যাংক নিয়ে ঢুকে পড়েছে রাশিয়ার সেনারা: ইউক্রেনে সামরিক হামলার দ্বিতীয় দিনে তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে রাজধানী কিয়েভে ভারি ট্যাংক নিয়ে ঢুকে পড়েছেন রাশিয়ার সেনারা। গতকাল শুক্রবার বিকালে এক টুইটে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ দাবি করেছে। টুইটে বলা হয়েছে, ‘শত্রুরা’ পৌঁছে গেছে ওবোলন এলাকায়। শহরের প্রাণকেন্দ্রে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট থেকে ওই এলাকার দূরত্ব ৯ কিলোমিটারের মতো। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দপ্তর স্থানীয়দের উৎসাহ দিচ্ছে, যেন তারা মলোটভ ককটেল বানিয়ে রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধের লড়াইয়ে যোগ দেয়।
পাশাপাশি বেসামরিকদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
টুইটে বলা হয়েছে, ‘শান্তিপ্রিয় বাসিন্দারা, সতর্ক থাকুন, নিজের বাড়ি ছেড়ে যাবেন না!’ এর আগে শুক্রবার সকাল থেকেই কিয়েভে গোলাগুলি চলারও খবর এসেছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। বেশ কয়েকটি বড় ধরনের বিস্ফোরণেরও খবর পাওয়া গেছে কিয়েভে। এর আগে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে দিমার ও ইভানকিভ এলাকায় সংঘর্ষ চলছে। ওই এলাকায় রাশিয়ার বেশ কিছু সাঁজোয়া যান ঢুকে পড়েছে। রুশ সেনার কিয়েভের খুব কাছে পৌঁছে গেছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ভাদিম দেনিসেনকো রয়টার্সকে বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া ৩৩টি বেসামরিক জায়গায় হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেন সেনাবাহিনী এর আগে ফেসবুক পেজের পোস্টে বলেছে, কিয়েভের উত্তর পশ্চিমে রুশ সেনাদের প্রতিহত করতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের সেনারা। রাশিয়ার সেনাবাহিনী যাতে কিয়েভের দিকে আর এগোতে না পারে, সে জন্য তেতেরিভ নদীর সীমান্তবর্তী একটি সেতু ধ্বংস করে দিয়েছেন ইউক্রেনের সেনারা।এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার ‘সেনা অভিযানের’ প্রথম দিনে গত বৃহস্পতিবার ১৩৭ ইউক্রেনীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩১৬ জন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা ১৩৭ জন বীর, আমাদের নাগরিক, সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের হারিয়েছি।’ এ ছাড়া আরও ৩১৬ জন মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com