ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। বর্তমান বিশ্বের অনেকের কাছে তিনি এখন বীর। মাতৃভূমিকে বাঁচাতে রাজধানী কিয়েভেতে অটল রয়েছেন তিনি। বন্ধু পশ্চিমারাষ্ট্র ইতোমধ্যেই পিছু হটেছে। দেশটিতে চলছে রাশিয়ার আগ্রাসন। তবে যুদ্ধের মর্টার-শেল আর গোলাতেও জেলেনস্কির ইস্পাত দৃঢ় মনোবল ভাঙতে পারেনি। অনেকেই জানেন না, ইউক্রেনের এই বীর প্রেসিডেন্ট ছিলেন চলচ্চিত্রের কৌতুক অভিনেতা।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জন্মগ্রহণ করেন ইহুদি পরিবারে। আইনে স্নাতক হন কিয়েভ ন্যাশনাল ইকনমিক ইউনিভার্সিটি থেকে। কিন্তু আইনজীবী হওয়ার কোনও আগ্রহ তার ছিল না। আইনের সওয়াল জবাবের মধ্যে না গিয়ে অভিনয় জগতে ঢুকে পড়েন জেলেনস্কি। নিজেকে এক কৌতুক অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে তোলেন। তার অভিনয় জীবন প্রসঙ্গে জানা যায়, পড়াশোনা শেষ করার আগেই মাত্র ১৭ বছর বয়সে কমেডি প্রতিযোগিতায় নাম লেখান জেলেনস্কি। ২০০৮ সালে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লাভ ইন দ্য বিগ সিটি’তে অভিনয় করেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। এরপর আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে তাকে পাওয়া গেছে। তার বেশিরভাগ ছবিই রুশ ভাষায়। জেলেনস্কির প্রথম ইউক্রেনীয় ভাষার ছবি ‘আই, ইউ, হি, শি’। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাই তার সিনে পর্দার শেষ কাজ।
‘সারভেন্ট অব দ্য পিপল’ নামে একটি টেলিভিশন শোয়ের মাধ্যমে সারা দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন জেলেনস্কি। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকভিচ ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপরই ক্রমশ প্রেসিডেন্ট পদের দিকে আস্তে আস্তে অগ্রসর হতে শুরু করেন জেলেনস্কি। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কোনোরকম অভিজ্ঞতা ছাড়াই জেলেনস্কি বিপুলভোটে জয়লাভও করেন। কিন্তু এরপর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে তার চরম বিরোধ শুরু হয়। যেহেতু জেলেনস্কি ইয়ানুকভিচের মতো রুশপন্থী নেতা ছিলেন না, তাই রাশিয়ার সঙ্গে তার বিরোধ চরমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত বেঁধে গেল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস