পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল সংবাদিকদের মঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। রোববার দুপুরে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাব ভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, পলাশবাড়ী প্রেসক্লাব সভাপতি রবিউল হোসেন পাতা। তৌহিদুল ইসলাম উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে গেল নির্বাচনসহ টানা দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দাায়িত্বপালন করছেন। ব্যক্তিজীবনে তৌহিদুল ইসলাম মন্ডলের রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিচয়। আগামী ১৩ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুর্ষ্ঠিত হবে। সভায় তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল তার বক্তব্যে জানান, তিনি ১৯৯৪ সালে পলাশবাড়ী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এ নেতা ১৯৯৭ সালে উপজেলা ছাত্রলীগেরও সহ- সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৮ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই সালের অক্টোবর মাসে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক হন এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস?্য পদ লাভ করেন। ২০০৫ সালে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং ২০১৬ ইং সালের ২৫ তারিখ উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের মাধ্যমে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই সাথে ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত?্যাহার করেন। তৌহিদুল ইসলাম ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের টিকেট নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। ২০১৭ সালে জেলার মাঝে শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়া এ রাজনীতিবিদ ৯০ এর স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলন, ৯৬ এর গণ আন্দোলনে বিডিআর কর্তৃক নির্যাতনের শিকার ও বাড়ী ঘর ভাঙচুর করা হয়। ২০০২ সালের ১৯ অক্টোবর অপারেশন ক্লিনহার্টে নির্যাতনের শিকারসহ পুনরায় বাড়ী-ঘর ভাঙচুর চালায়। এতে করে বহু ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। পরিবার,আত্মীয়, স্বজন থেকে চাপ দেয় রাজনীতি ছেড়ে দিতে। কিন্তু আওয়ামী লীগ পাগল তৌহিদুল ইসলামকে কেহই বাঁধা দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে সরাতে পারেনি। আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে ২০০৪ সালের ১১ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ডাকে সাড়া দিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলায় গড়ে তুলেছেন গণঅনাস্থা ও মানবপ্রাচীর কর্মসূচি। তারবিনিময়ে সেই সময়ের বিডিআর -পুলিশ কর্তৃক প্রধান আসামী করে ৩ টি মামলার বোঝা নিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। ১/১১ এর প্রক্ষাপটে সেই সময়ের যৌথবাহীনি এ নেতার বসতবাড়ী, বাসায় ব?্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে। নির্যাতনের শিকার তৌহিদুল ইসলামকে আওয়ামী রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ করতে তৎকালীন বিএনপি জোট সরকার ১৯ টি মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এরপর ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ নেতার বাসা-বাড়ীতে ব?্যাপক ভাঙচুর চালায়। সার্বিক বিবেচনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে তিনিই নির্বাচিত হবেন বলে মত তৃণমুল নেতাকর্মীদের। শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা আওয়ামী লীগে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়নসহ দলীয় কর্মকান্ড জোরদার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভা সঞ্চালনা করেন, প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন।