নির্ধারিত সময় ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ মাত্র ৬২ ভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সঠিক নন ৫৮ ভাগ মানুষ। তারা রাজনৈতিক প্রভাব ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে পিআইসি গঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা’র পরিচালনায় পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ১০৮ টি বাঁধের উপর তারা এ জরিপ পরিচালনা করেন। বুধবার দুপুরে সিলেটের জিন্দাবাজারে ইমজা মিলনায়তনে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা এই জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংগঠনের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি কাসমির রেজা এই প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পীযূষ পুরকায়স্থ টিটু ও সহ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবুল কাশেম। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী মাত্র ৮ ভাগ বাঁধে মাটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঘাস লাগানো হয়েছে ৩ ভাগ বাঁধে। সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ৫০ মিটার দূর থেকে বাঁধের মাটি আনার কথা থাকলেও ৩৫ ভাগ বাঁধে এই নিয়ম মানা হয়নি। যেসব বাঁধে মাটির কাজ সম্পন্ন করার হয়নি এসব বাঁধে মাটি দুরমুজ (কম্পেকশন) ও ঢাল বজায় রাখার কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫২ ভাগ বাঁধে ২:১ ঢাল বজায় রাখা হয়নি। যা নীতিমালা অনুযায়ী থাকার কথা। ১৮ ভাগ বাঁধে মাটি দুরমুজ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার কারণ হিসেবে প্রকল্প প্রাক্কলন ও পিআইসি গঠনে বিলম্ব, অর্থ ছাড়ে বিলম্ব, হাওর থেকে দেরিতে পানি নামা ও ড্রেজার মেশিনের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও বাঁধের মাটির দুষ্প্রাপ্যতা ও প্রকল্প গঠনে অনিয়মের সমস্যার কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। বাঁধের বিকল্প হিসেবে উজানে ও ভাটিতে নদী খননের জন্য তারা সুপারিশ করেন।