মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” ২০২২ দিবস পালন করা হয়। সুর্যোদয়ের সাথে সাথে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯ টায় শিক্ষা বোর্ড চত্তরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধ’ুর প্রতিকৃতিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শ্রদ্ধা নিবেদন, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতাপাঠ এবং ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সকাল ৯টা দশ মিনিটে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” ২০২২ দিবস এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুজিব শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: আরিফুল ইসলাম। “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো: হুমায়ুন কবির, অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মো: মুঞ্জুর রহমান খান, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোহা: হুমায়ুন কবীর (লালু)। অনুষ্ঠানে সভাপতি প্রফেসর মো: হাবিবুর রহমান তাঁর বক্তব্যে- জয় বাংলা শ্লোগানটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার প্রসঙ্গটি আলোচনা করার সময় তার ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুগান্তকারী ভাষণের স্মারক হিসেবে ৭ মার্চ দিনটি অবস্মরণীয় হয়ে আছে বাঙালির হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধুর ভরাট কণ্ঠের আওয়াজে আজ মুখর হবে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা। মাত্র ১৯ মিনিটের এই ভাষণে কী ছিল না? নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র করে তোলার জন্য যা যা রসদ দরকার, এর সবই ছিল এ ভাষণে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রধান মূল্যায়ন অফিসার (চলতি দায়িত্ব) এস. এম. গোলাম আজম। এছাড়া বোর্ডের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ স্বত:স্ফুর্তভাবে এ সভায় অংশগ্রহণ করে সভাকে সাফল্যমন্ডিত করেন। সভাপতি সকলকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। পরে বাদ আসর শিক্ষা বোর্ড মসজিদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ মাহ্ফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বোর্ড মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হাশেম মো: রহমাতুল্লাহ।