দ্রব্যমূলের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে নাজেহাল অবস্থায় পত্নীতলার সাধারন মানুষ।প্রতিদিন বাড়ছে প্রয়োজনীয় নিত্য পণ্যেও দাম। পেটের দায়ে এক রকম বাধ্য হয়ে কোন রকমভাবে বাজার করে ফিরছেন মানুষ। পরিবারের চাহিদা মেটাতে বাজার করে সানন্দে হাসিমুখে বাড়ি ফিরতো মানুষ। এখন আর সেই চিত্র নেই।চাহিদা থাকলেও বাজার দরের এমন অবস্থায় ক্রয় করতে পারছেন না প্রয়োজনীয় সব পণ্য। কেবল পেটের চাহিদা মেটাতে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন কোনমতে। সোমবার পত্নীতলা সদর নজিপুর পৌরসভার নতুনহাটের সাপ্তাহিক বড়হাট ও মঙ্গলবার সদরের কাঁচা বাজার সরেজমিনে বাজার পরিদর্শনে গিয়ে বিক্রেতারা জানায় প্রতিটি পণ্যের দাম কখন বাড়তি হচ্ছে, কেন বাড়তি হচ্ছে তা মোকাম বা আড়ৎদার কারো কাছেই কিছুই জানেন না তারা। বর্তমান বাজারে, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা কেজি, করলা ১৬০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি, আলু ২০ টাকা কেজি, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজি, বেগুন ২০ টাকা কেজি ,সবুজ শাক আটি প্রতি ৫-৭ টাকা ,ডাটা ২০ টাকা আটি, গাজর ৩০ টাকা কেজি, টমেেেটা ৪০ টাকা কেজি , আলু ২০ টাকা কেজি, সিম ৪০ টাকা কেজি, লাউ ৩০-৩৫ প্রতি পিস, ক্যাপসিকাম ৮০ টাকা কেজি । সপ্তাহ বা দশ দিন পূর্বে নাগাদ এগুলোর বাজার দর ছিলো কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি, করলা ৮০-১০০ টাকা কেজি , পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা কেজি, আলু ১০-১৫ টাকা কেজি, পেঁপে ১০-১৫ টাকা কেজি ,বেগুন ১৫ টাকা কেজি,গাজর ২০ টাকা কেজি, টমেটো ৩০ টাকা কেজি ,সিম ২৫-৩০ টাকা কেজি, লাউ ২০-২৫ টাকা প্রতি পিস ,ক্যাপসিকাম ৬০-৬৫ টাকা কেজি। এদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায় ,স্বর্ণা ৫ কেজি প্রতি ৪৫ টাকা যা বেড়েছে কেজি প্রতি ৩টাকা, জিরা ৬০ টাকা কেজি যা বেড়েছে ৫ টাকা, কাটারী ৬২ টাকা যা কেজি প্রতি বেড়েছে ৪ টাকা, আটাশ ৫২ টাকা কেজি যা বেড়েছে ৪ টাকা, মোটা হাইব্রিট ৩৮ টাকা যা কেজি প্রতি বেড়েছে ৩ টাকা। অন্যদিকে মাছ মাংস ও ডিমের বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ টাকা কেজি প্রতি যা ছিলো ৪০০-৪১০ টাকা, সাদা প্রোল্টি ১৪৫ টাকা যা ছিলো ১৩০-১৪০ টাকা, কর্ক ২৭০-২৮০ টাকা যা ছিলো ২৪০-২৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি কেজি প্রতি ২৩৫-২৪০ টাকা যা ছিলো ২২০-২২৫ টাকা, ডিম হালি প্রতি ৩৭-৩৮ টাকা যা ছিলো হালি প্রতি ৩৪ টাকা। মাছের বাজার সিলভার ১৩০-১৪০ টাকা, ব্রিকেট ১৪০-১৫০ টাকা, রুই ১৮০-২২০ টাকা, জাপানি ১৩০-১৪০ টাকা ,কাতলা ২২০ টাকা কেজি। কেজি প্রতি মাছের বাজার ১০-৩০ টাকা বৃদ্ধি। মুদিখানার পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি, রসুন ৬০ টাকা কেজি ,মসুর ডাল ১২০ টাকা কেজি, পাহাড়ী ডাল ৫৫ টাকা কেজি, খেসারী ডাল ৮০ টাকা কেজি, আদা ৮০ টাকা কেজি, খোলা সোয়াবিন তেল ১৯০ টাকা, বোতলজাত সোয়াবিন ১৭০ টাকা, হুইল পাউডার ১০০ টাকা, সরিষা তেল খোলা ২২০ টাকা কেজি। কেজি প্রতি পণ্যগুলোর দাম বেড়েছে পেঁয়াজে ৩০-৩৫ টাকা, রসুনে ৩০-৩৫ টাকা, মসুরডালে ২০ টাকা, পাহাড়ী ডালে ৭ টাকা, আদায় ২০ টাকা, খোলা সোয়াবিনে ৩০ টাকা, বাতলজাত সোয়াবিন তেলে ২০ টাকা, হুইল পাউডারে ১৫ টাকা, সরিষা খোলা তেলে ২০ টাকা।