বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন

বোয়ালমারীতে কুমার নদের মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

হাসান মাহমুদ মিলু বোয়ালমারী (ফরিদপুর) :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের রূপাপাত মধ্যপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার নিকট থেকে কুমার নদ খনন করে মাটি নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশ করে নদের মাটি অবৈধভাবে ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমার নদের উত্তর পাশে স্তুপ করে রাখা নদ খনন করা মাটি এ্যাক্সাভেটর দিয়ে কেটে ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। সেখানে থাকা সুমন ফকির নামে এক যুবক জানায়, তিনি রূপাপত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার ম্যানেজার। সোনা মিয়ার এ্যাক্সাভেটর ভাড়া নিয়ে এ মাটি কাটা হচ্ছে। স্থানীয় কালাম শেখের জমির উপর এ মাটি রয়েছে। কালাম শেখ মাটি বিক্রি করছে। পুতুন্তিুপাড়ায় অবস্থিত আক্কাস খালাসির ভাটায় এ মাটি বিক্রি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। কথা বলার জন্য জমির মালিক কালাম শেখকে খোঁজা হলে তাকে না পেয়ে কথা হয় তার ছেলে রূপাপাত বাজারের ডিম ব্যবসায়ী নাসিম শেখের সাথে। নাসিম মোবাইল ফোনে জানান, তাদের জমি থেকে এ মাটি নিচ্ছে সোনা মিয়া; বর্তমান চেয়ারম্যান। খবর পেয়ে কালাম শেখ দোকানে এসে বলেন, এ মাটি নিচ্ছে চেয়ারম্যানের লোকজন। আমাকে কিছু খরচ দিতে চেয়েছে। আমার প্রায় সোয়া একর জমির উপর এ মাটি রয়েছে। মাটি থাকার কারণে কোন ফসল হচ্ছে না। এ জন্য প্রথম একবার এ মাটি বিক্রি করতে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজন বাধা দেয়। পরে তারা আমাকে মাটি নেয়ার ব্যাপারে একদিন বলেই বেকু লাগিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে ইটভাটা মালিক আক্কাস খালাসিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমিতো মাটি নিচ্ছি না। আমাকে মাটি দিচ্ছে। কে দিচ্ছে প্রশ্ন করলে প্রথমে বলেন, রূপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, পরে বলেন চেয়ারম্যানের লোকজন। তিনি আরও জানান, ট্রলি প্রতি ৮০০ টাকা চুক্তিতে তিনি মাটি ক্রয় করছেন। এ ব্যাপারে রূপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার নিকট জানতে চাইলে মাটি ব্রিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার ছোট ভাই মুরাদের বেকু ঘন্টা প্রতি এক হাজার ৪০০ টাকা ভাড়ায় মাটি কাটার কাজ করছে কালাম। আমি এসব কাজবাজ করি না। আমি কোন মাটি বিক্রি করছি না। আমার ব্যবসা বানিজ্য ঢাকায়, এখানে আমি টুপাইস কুড়াতে আসি না। কালাম তার জমি চাষ করার জন্য মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। কালাম ও ফিরোজ মেম্বার আত্মীয় তারা মাটি কেটে বিক্রি করছে। সুমন তাঁর ম্যানেজার নয় জানিয়ে বলেন, আগে তারা আমার ফার্মে কাজ করতো। এখন নেই। এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমকে অফিসের নম্বরে (০১৭০১৬৭০০২৬) ফোন দিলে কেউ ফোন রিসিভ করেননি। ব্যক্তিগত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com