সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরের দিকে তাকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে স্ত্রী-কন্যার কবরের পাশে দাফন করা হয়। সাহাবুদ্দীন আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা আহমদ দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে ২০১৮ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান। তাকে এই কবরস্থানেই দাফন করা হয়েছে। আর তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় ড. সিতারা পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তাকেও এখানেই সমাহিত করা হয়েছে। এবার তাদের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলে সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধান।
এর আগে হাইকোর্টের পাশে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয় সাবেক এই প্রধান বিচারপতির। জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিমকোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, আইনজীবী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারও মানুষ উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ শনিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টা ৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
প্রসঙ্গত, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।