মঠবাড়িয়ায় পিতার বসতবাড়ি হতে মেয়ে ও মাকে জোরপূর্বক নামিয়ে দিয়ে বসতঘর ও পৈত্রিক সম্পতি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে লিমা ও তার মা আপন চাচার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। ভূক্তভোগি লিমা আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার পিতা উপজেলার দক্ষিণ গিলাবাদ গ্রামের মো. দুলাল মিয়া গত ২০১৭ সালের ৩ জুন সৌদিআরবে কর্মরত অবস্থায় মারা যান। পরে তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম মৃত বড় ভাইয়ের স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে বসতঘর থেকে উচ্ছেদের পায়তারা শুরু করে। গত ৫ বছর আগে মৃত ভাইয়ের স্ত্রীর নামে ভূয়া তালাকনামা দেখিয়ে মা ও মেয়েকে মারধর করে বসতঘর হতে বের করে দেন। এরপর মা ও মেয়ে গৃহহারা হয়ে নানা বাড়িতে আশ্রয় নেন। ন্যায় বিচার ও বসতঘরে ফিরে যাবার আশায় স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি। উল্টো অভিযুক্ত চাচা তার ভাইয়ের মেয়ে ও মায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণি করে আসছেন। এ অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত চাচা নজরুল ইসলাম ভাইয়ের বিধাব স্ত্রী ও সন্তানকে বসতবাড়ি হতে বিতাড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পৈত্রিক জমিজমার বিষয়ে আমি আদালতে একটি বন্টন মামলা করেছি। ওই মামলায় মা ও মেয়ে হাজিরা না দিয়ে বিভিন্ন স্থানে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে মা ও মেয়েকে তাদের বসতঘরে তুলে দেওয়া হয়েছিল। পরে তাদের আবার উচ্ছেদ ও হয়রাণির বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।