মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দৃষ্টিনন্দন নতুন সড়কে বদলে যাবে ফরিদগঞ্জ চান্দ্রা-সেকদি-টুবগি এলাকার সূর্যগিরি আশ্রম শাখার উদ্যোগে দক্ষ জনশক্তি গঠনের আলোকে সেলাই প্রশিক্ষণ উদ্বোধন নগরকান্দা ও সালথায় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আজ রাউজানে সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ’র ডাকা আধাবেলা অবরোধ পালিত শেরপুরে কলেজ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সমাবেশ ও আলোচনা সভা সোনাগাজীতে স্কুল ভবন নির্মাণে বাধার অভিযোগে মানববন্ধন চট্টগ্রামে চুয়েটের সাথে তিনটি সংস্থার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ভোটার উপস্থিতি নিয়ে কমিশন ভাবছে না: ইসি আলমগীর বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

ট্রেনের একটি টিকিটের জন্য ৬ ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২

ট্রেনের টিকিট পেতে চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে যাত্রীদের। একটি টিকিট হাতে পেতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদেরকে। ট্রেনের টিকিটের অনলাইন সিস্টেমের উন্নয়নের কাজ চলছে। এ কাজ আগামী ২৫শে মার্চ পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এটা শুরু হয়েছে ২০শে মার্চ। এ সময়ে হাতে লেখা কাগজের টিকিট দেয়া হচ্ছে। ফলে টিকিট দিতে সময় লাগছে অনেক। এখন মাত্র ২ দিনের অগ্রিম টিকিট দেয়া হচ্ছে। শতভাগ টিকিট দেয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে। তাই সবাই এসে ভিড় করছেন কমলাপুর স্টেশনে। গতকাল বুধবার সকালে সরজমিন এসে কমলাপুর স্টেশনে এই চিত্র দেখা গেছে। উল্লেখ্য, গত সোমবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছিলেন, ২০০৭ থেকে ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি করছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সিস্টেম (সিএনএস)। তাদের সঙ্গে আমাদের ১৫ বছরের চুক্তি ছিল। যা শেষ হচ্ছে ২০শে মার্চ। এরপর আমরা নতুনভাবে টেন্ডার করি। সেই টেন্ডারে কাজ পেয়েছে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি সহজডটকম।
তিনি আরো জানান, যেহেতু ২০ মার্চ কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেহেতু এখন থেকে ট্রেনের টেকিট বিক্রি করবে সহজ। তাদের অভ্যন্তরীণ সেটআপের জন্য ৫ দিন সময় নিয়েছে। ২৬ তারিখ থেকে তারা ট্রেনের টিকিট বিক্রি করবে।
অ্যাপে নয়, ওয়েবসাইটে মিলবে ট্রেনের টিকিট: বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তনের কারণে ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) মধ্যরাত পর্যন্ত কাউন্টার থেকে হাতে লিখে পুরনো পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি করা হবে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২:০০টা থেকে পুনরায় অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। শুরুতে শুধু ওয়েবসাইট থেকেই টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। থাকবে না কোন মোবাইল অ্যাপ। জানা গেছে, নতুন ওয়েবসাইট থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট করতে হবে। পুরনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে নতুন সাইটে লগ-ইন করা যাবে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি যৌথভাবে টিকিটিং সিস্টেম তৈরি করেছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-এর সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাস – লঞ্চ টিকিট বিক্রি করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সহজ ১৫ বছর ধরে ব্যবহৃত রেল টিকিটিং সিস্টেমের আদলে একটি সমমানের পদ্ধতি মাত্র ২১ কর্মদিবসে তৈরি করেছে। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সহজ কাজটি পেয়েছে। টিকিটের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সিস্টেম পরিচালনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও প্রদান করেছে সহজ। এর আগে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পালন করেছে সিএনএস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ওই চুক্তি অনুযায়ী সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি প্রাথমিকভাবে চলমান সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি সচল রাখবে এবং আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি বি আরআইটিএস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। এ সকল টিকিটের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com