কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মহেশখালী চ্যানেলে নদী ভরাট করে বিরতিহীনভাবে চলছে অবৈধ চিংড়ি ঘের নির্মাণের প্রতিযোগিতা। এতে নিরব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর এসব অপকর্মের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে স্থানিয় মো. ইসমাইলের ছেলে মো. হোসাইন নামে এক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘সম্প্রতি উপজেলার শাপলাপুর এলাকার পূর্বপাশে স্লুইচগেট এর সাথে লাগোয়া শতবছরের এ নদীতে এস্কেভেটর দিয়ে প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে অবৈধভাবে জীবিত নদী দখল করে দুটি চিংড়ী ঘের নির্মাণে করার উদ্বিগ্ন পরিবেশবাদী নেতারা। তাঁরা বলছেন- পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় প্রাকৃতিক বন ও গাছপালা কর্তন, প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংসকারী সব কার্যকলাপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এতে মহেশখালীর জীববৈচিত্র্য বিশেষ করে পাখির আবাসস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ। জানা যায়, ইতোমধ্যে মোঃ হোসাইন নামের ঐ নদী খেকো শত বছরের পুরনো নদী দখল করে ঘের দখল করতে ভেকু বা এস্কেভেটর দিয়ে কাজ অব্যাহত রাখায় পাশ্ববর্তী লবণ চাষিসহ উপকূলীয় এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এভাবে চললে মহেশখালী-বদরখালী নৌ চ্যানেলে সেতুর পাশেই এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে প্রবাহমান নদী দখল ভবিষ্যৎ শঙ্কায় পড়বে এ নদী। এছাড়াও কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মহেশখালী-বদরখালী সেতুটিও ঝুঁকিতে পড়েছে। এ নৌ-চ্যানেলে আসা মাছ ধরার জেলে ও বিভিন্ন ইউনিয়নের কাঁকড়া সংগ্রহকারীরা জানান, প্রভাবশালীরা নদী দখলের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত?তাই তাঁদের দৈনন্দিনের আয় একেবারে শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। তিনি জানান- নদী রক্ষা এবং আহার জোগাড়ের সহায়স্থলটি নদী খেকোর অবৈধ দখল থেকে উম্মোক্ত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোরালো দাবি জানাচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানিয় বলেন, শাপলাপুর ইউনিয়নের শাপলাপুর পূর্বপাশে প্যারাবন কেটে নদী দখল হচ্ছে। এতে করে ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে রয়েছে শতবছরের এ নদী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন দেখছেনা। প্রাচীনতম নদীর দখল করে চিংড়ি ঘের নিমার্ণ জগন্যতম অপরাধ। দখলের থাবায় মহেশখালী চ্যানেলের এক সময়ের প্রাণচঞ্চল এই নদীটি এখন সরু খালে পরিণত হয়ে বোবাকান্না করছে। নদীটি উদ্ধার করে প্রাণচঞ্চল ফিরে আনা সময়ের দাবি বলে করেন সচেতন মহল। এ বিষয়ে মহেশখালী রেঞ্জের শাপলাপুরের জেএমঘাট বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক এদিকে মহেশখালী জেমঘাট বিট কর্মকর্তা জানান, দখলি ঘেরে মো. হোসাইনের খতিয়ানি জায়গা রয়েছে, তবে নিজস্ব জায়গা ছাড়া যদি সরকারি নদীতে ঘের নির্মাণ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।