মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা ও মেয়ের উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন গাইবান্ধা জনবান্ধব পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। “ পাশে আছি সব সময়, এসেছি অনেকদূর, যেতে হবে বহুদূর” এই বিষয়কে লক্ষ্য রেখে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের আয়োজনে ৪ এপ্রিল দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৯নং খোলাহাটি ইউনিয়নের উত্তর আনালেরতারি গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা আহাম্মদ আলী ও তার মেয়ে মোছা: রেহেনা খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশের এ্যাম্বুলেন্সযোগে পাবনা মানসিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন ও তার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেন। পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন-সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন টেলিভিশন, পত্রিকা, ফেসবুক, অনলাইন ও ইউটিউবে ৭ বছর হলো শিকলে বন্ধি, জোটেনি প্রতিবন্ধি ভাতা। বাবা ও মেয়ের মানবেতর জীবনযাপন সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের নজরে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে গাইবান্ধা সদরের আনালেরতরী গ্রামে পিতা আহাম্মদ আলী ও মেয়ে রেহেনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাবনার মানসিক হাসপাতালে প্রেরন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন- আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজ জেলা পুলিশ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সদর উপজেলার নশরতপুর এলাকার মানসিক ভারসাম্যহীন একটি ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা ও স্বাবলম্বী করতে সদয় পাতি নামে একটি দোকান ঘর উপহার দেয়া হয়। সে সাথে সাদুল্লাপুর উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন তৌহিদকেও পাবনা মানসিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা করা হচ্ছে। গাইবান্ধা ট্রাফিক অফিসার ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি সার্কেল আবু লায়েছ মো: ইলিয়াস জিকু, ৯নং খোলাহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম হক্কানী, জনকল্যাণ সোসাইটি দারিয়াপুর এর উপদেষ্টা লক্ষন চন্দ্র সহ অনেকে।