শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
মাধবদীতে লোডশেডিং ও গরমে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যানের বৃষ্টি প্রার্থনায় অঝোরে কাঁদলেন বরিশালের মুসল্লিরা আদিতমারীতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা নওগাঁয় বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন ছড়ার পানিই ভরসা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর চকরিয়ায় একাধিক অভিযানেও অপ্রতিরোধ্য বালুখেকো সিন্ডিকেট রবি মওসুমে নওগাঁ জেলায় ৮৮ হাজার ১১০ মেট্রিকটন ভূট্টা উৎপাদনের প্রত্যাশা কটিয়াদীতে প্রচন্ড তাপ প্রবাহ, বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসস্তিকা বরিশালে দাপদাহে স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে শেবাচিম হাসপাতালে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু কালীগঞ্জে রাতের অন্ধকারে কৃষি জমির মাটি লুট

নওগাঁর সাপাহারে পুনর্ভবা নদী এখন খেলার মাঠ

নওগাঁ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২

নওগাঁ জেলার সীমান্ত ঘেঁষা এক কালের খর¯্রােতা পুনর্ভবা নদী এখন পানি শুন্য হয়ে ছেলেদের ক্রিকেট ও ভলিবল খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। পুনর্ভবা নদী উইকিপিডিয়ার সূত্র মতে পুনর্ভবা বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিনাজপুর জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২২৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১০২ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক পুনর্ভবা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৭২। নদীটির বর্তমান উৎপত্তিস্থল হচ্ছে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের বিলাঞ্চল। নদীটি পতিত বা মিলিত হয়েছে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার মহান্দা নদীর মোহনায়। এছাড়া ইতিহাস থেকে আরোও জানা যায় যে, পুনর্ভা নদীর প্রাচীন উৎস্য ব্রাম্মণপুর বরেন্দ্রভুমি। ১৭৮৭খৃষ্টাব্দে হিমালয়ের বন্যায় প্রচন্ড ভুমিধবসে ভারতের সানুর নিকট এ নদীর পার্বত্য উৎস্যমুখ বন্ধ হয়ে যায়। এলাকার প্রবীন ব্যক্তিদের নিকট থেকে আরোও জানা যায় এক সময়ে প্রায় ১২মাসই বহমান ছিল পুনর্ভবা এই নদী। বৃটিশ ও পাকিস্থান শাসনামলে এই উত্তর জনপদের রাস্তাঘাটের তেমন কোন উন্নতি না হওয়ায় এক শহরের সাথে অন্য শহরের যোগাযাগের ক্ষেত্রে এই এলাকার মানুষজনের ব্যবসা বাণিজ্যের একমাত্র পানিপথের রাস্তা ছিল এই নদীটি। সে সময় এই নদীতে ছোট বড় নানা ধরণের নৌকা চলত। নদীর বুক চিরে অনেক ধরণের মালবোঝাই এমনকি বিয়ের বর যাত্রিদের নৌকার বাহারী বহরও চোখে পড়ত এই নদীতে। বর্তমানে কালের আবর্তনে প্রকৃত নদী শাসন না থাকায় ধিরে ধিরে নদীটি ভরাট হয়ে তার যৌবন হারিয়ে ফেলেছে। নদীটি এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে এক রাশ বুক ভরা বালি রাশি নিয়ে ধু’ধু মরুভুমির মত হয়ে রয়েছে। প্রতিবছর খরা মৌসুম এলেই নদী তীরের গ্রামের ছেলেরা নদীর বুকে ক্রিকেট ভলিবল খেলার নেট টাঙ্গিয়ে সকাল বিকাল খেলা করে থাকে। কয়েক বছর আগেও প্রতি খরা মৌসুমে নদীর পানি কমে গিয়ে নদীতে বিশাল বিশাল বোয়াল মাছ , শৌলমাছ, বাইম মাছ,আইড় বাঘার সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে থাকতো নদীপাড়ের লোকজন। এখন আর সামান্য পানি টুকুও থাকেনা বর্তমানে নদীটি শুধুই স্মৃতি আর মরা খাল। নদীটিকে আবারো তার যৌবন ফিরিয়ে সারা বছর বহমান রাখার জন্য সাপাহারবাসী সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ সহ সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com