খবরপত্র নিউজ ডেস্ক : আজ ৩০ মে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। দিবসটি উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভাসহ ১২ দিনের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এবং চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, দলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবাষির্কী উপললক্ষে আজ (শনিবার) ভোর ৬টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তলন করা হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে দলের মহা-সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারত করবেন।
দুপুর ১ টায় মোহাম্মদপুর ১নং আসাদগেটে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসভবন সংলগ্ন এলাকায় অসহায় দুস্থদের মাঝে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্য বিতরণ করা হবে।
বিকেল সাড়ে ৩টায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি কমিনিউকেশনের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে।
প্রতিবছর জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হলেও এবার প্রস্তুত করা খাদ্যের পরিবর্তে খাদ্যসামগ্রী, বস্ত্র বিতরণ ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এসব সামগ্রী বিতরণকালে কোনোমতেই কোনও সমাবেশ করা যাবে না, এটা আমরা জোর দিয়ে বলছি। কারণ, এখন এই বিধান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার পক্ষ থেকে যেটা বলা হয়েছে, এটা মেনে চলাটা আমাদের একটা দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো সমাবেশ বা জমায়েত না করে ভার্চুয়াল মিটিং করে আমরা তাকে স্মরণ করব।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ির এক বনেদি মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন জিয়াউর রহমান। তিনি দেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
জন্ম ও শৈশবে তার ডাক নাম ছিল কমল। তার পিতার নাম মনসুর রহমান এবং মাতার নাম জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়।
১৯৫৩ সালে তিনি কাকুল পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৫৫ সালে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হন। সামরিক বাহিনীতে তিনি একজন সুদক্ষ প্যারাট্রুপার ও কমান্ডো হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন।
১৯৬০ সালে পূর্বপাকিস্তানের দিনাজপুর শহরের মেয়ে খালেদা খানমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জিয়াউর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জিয়াউর রহমান। দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযুদ্ধের একটি স্বতন্ত্র সেক্টরের। তার নামে গড়ে ওঠে জেড ফোর্স।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাদাবী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।
তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর একটি অংশের অভ্যুত্থানে নিহত হন জিয়াউর রহমান।
এমএস/প্রিন্স/খবরপত্র