দিনাজপুরের হিলিতে বিদেশি জাতের গরু খামারের পাশাপাশি ভেড়া ও গাড়লের খামার করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন মাহফিজুর রহমান বাবু। তার খামার দেখে অন্যরা এসব খামার বানাতে উৎসাহি হয়ে উঠছেন। তার খামার থেকে বিদেশি জাতের গরু এবং গাড়ল নিয়ে খামার তৈরি করছেন অনেকেই। আবার এই খামারে অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানেও হয়েছে। বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে হিলি সাতনি চারমাথায় বাবুর গরু ও গাড়ল খামার ঘুরে দেখা যায়, ১০ বছর আগে ৮ টি বিদেশি ফ্রিজিয়াম জাতের গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। পরে তার খামারে ১০০ উপরেও গরু হয়। পর্যায়ক্রমে খামার থেকে তিনি ফ্রিজিয়াম জাতের গরু বিক্রি করে থাকেন। বর্তমান তার খামারে প্রায় ৫৫ টি গরু আছে। তার গরুর খামার দেখে এলাকার অনেকেই খামার তৈরিতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এবং এই খামার থেকে গরু কিনে খামার করছেন নতুন খামারীরা। এদিকে মাহফিজুর রহমান বাবু গরুর খামারের পাশাপাশি গত দুই বছর আগে ১০টি গাড়ল দিয়ে খামার শুরু করে। বর্তমান সেই ১০ টি গাড়ল থেকে ৭০ টি গাড়ল হয়েছে। খামার দুইটি দেখভালের জন্য রয়েছে ১৬ জন শ্রমিক প্রতিদিন হাজিরা হিসেবে পায় জনপ্রতি ৩০০ টাকা। এই মজুরি দিয়ে তারা তাদের সংসার চলায় ভালভাবে। কয়েক জন শ্রমিক বলেন, আমরা শুরু থেকে বাবু ভাইয়ের গরু ও গাড়ল খামারীতে কাজ করে আসছি। সারাদিন কাজ করি, কাজ করে পারিশ্রমিক হিসেবে যা পাই তাই দিয়ে আমাদের সংসার ভালভাবে চলে। খামারী মাহফিজুর রহমান বাবু বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে শখের বশে ৮ টি উন্নতমানের ফ্রিজিয়াম জাতের গরু দিয়ে খামরা শুরু করি। পরে তা থেকে ১০০ উপরে গরু হয়। বিভিন্ন সময় গরুগুলো বিক্রি করি, এতে অনেক টাকা মুনাফা পাই। বর্তমান খামারে আমার ৫৫ টি গরু আছে। নিজেকে স্বাবলম্বী করতে গত দুই বছর যাবৎ ভেড়া ও গাড়লের খামার দিয়েছি। প্রথমে ১০ টি গাড়ল দিয়ে খামার শুরু করি। তা থেকে বর্তমান ৭০ ভেড়া ও গাড়ল হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার খামার দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবকরাও খামার তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এবিষয়ে হাকিমপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রতন কুমার দাস বলেন, হিলি একটি সীমান্তবর্তী এলাকা, এখানে অনেক উদ্যোক্তা রয়েছে। উপজেলায় ৩০০ টি গাভি, ২৮০ টি ছাগল ও ১৫০ টি মুরগীর খামার আছে। আমরা প্রতিনিয়ত এসব খামারীদের সেবা দিয়ে আসছি। এছাড়াও হিলির সাতনি চারমাথায় মাহফিজুর রহমান বাবুর একটি বিদেশি ফ্রিজিয়াম জাতের গরুর খামার আছে। পাশাপাশি গাড়লের খামার দিয়েছে। বাবু একজন সফল খামারী। তার খামার দেখে অনেকেই নতুন খামার দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত তার দুইটি খামার পরিদর্শন করি।