আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এ শ্লোগানে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারে মুজিববর্ষ উপলক্ষে তৃতীয় ধাপে আরো ৮’শ ৬৭টি পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। রবিবার চকরিয়া সহ উপজেলা সমুহের নির্বাহী অফিসারগন সংবাদ ব্রীফিংয়ে এ তথ্য জানান। সোমবার (২৫ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হবে। আগামী ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে সমগ্র দেশের সাথে একযোগে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে ঘরের কাঠামোতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে ব্যয়। যে কারণে ঘরগুলো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। এডিসির দেয়া তথ্য মতে, মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ইতিপূর্বে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে দুই শতক জমির ওপর এক হাজার ৪২৩টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও এক হাজার ৮৮৪ টি ঘর প্রয়োজনে জমি ক্রয় করে ভূমিহীনদের হাতে তুলে দেয়া হবে। জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মত, তৃতীয় ধাপে কক্সবাজার সদরের ১০৩টি, চকরিয?ায? ২১০টি, পেকুয়া ৪০, রামুতে ২০০, মহেশখালীতে ৩৫, উখিয়ায় ২২০, টেকনাফ ৪০ এবং কুতুবদিয়ায় ১৯টি পরিবারকে দলিলসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, পুনর্বাসনের লক্ষে তৈরী বৃহৎ এ উপহারের আওতাভুক্ত করা হয়েছে গৃহহীন, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও ষাটোর্ধ প্রবীণদের। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’। ধীরে ধীরে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের পূর্বে উপহারের ঘর হস্তান্তরের মধ্য দিয?ে সহায? সম্বলহীন পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করবেন প্রধানমন্ত্রী।