শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি রাসূল (সা.)-এর সীরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে দৃঢ় শপথবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে—ড. রেজাউল করিম চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চান: ফরাসউদ্দিন নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় গাজানীতির প্রতিবাদে বাইডেন প্রশাসনের ইহুদি কর্মকর্তার লিলির পদত্যাগ

দর্শনার্থীদের মন কেড়েছে আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদ

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ মে, ২০২২

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জে নির্মাণ হচ্ছে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদ। ঈদের দিন থেকে মসজিদটি দেখতে ছুটে আসছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা। মসজিদটি আফতাব পরিবারের ভালবাসার ফল, মসজিদটি নির্মাণ হলে প্রায় চার হাজার মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবর। আগামী ৫০ বছরেও অত্রএলাকায় আর কোন নতুন মসজিদের নির্মাণের প্রয়োজন হবে না। রবিবার (৮ মে) আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদটি ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। মসজিদের ভিতর ও বাহিরে বিচরণ করছেন অনেক দর্শনার্থীরা। এছাড়াও নিজ ক্যামেরায় সেলফি তুলছেন সবাই। আবার অনেকেই এই মসজিদে নামাজও আদায় করতে দেখা যায়। চলমান রয়েছে মসজিদের নান্দনিকতার কাজ। ২০১৫ সালে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণ কাজ। মসজিদের নির্মাণ এবং নান্দনিকতার কাজ প্রায় শেষের দিকে। আরও ২ বছর সময় লাগবে মসজিদটির পুরো নির্মাণ কাজ শেষ করতে। মসজিদটি নির্মাণ হচ্ছে চার তলা বিশিষ্ট। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার কাজ প্রায় শেষের দিকে। বর্তমান এই দুই তলায় জুম্মার নামাজ শুরু হয়েছে। নিচতলায় বসবে মকতব। অসাধারণ কারুকাজ হচ্ছে মসজিদটির। মসজিদটি সম্পূর্ণ নির্মাণ হলে নামাজ পড়বেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার মুসল্লি। ৫০ বছরের মধ্য এই এলাকায় আর কোন মসজিদের প্রয়োজন হবে না। অনেকটাই দেখতে প্রায় তাজমহলের মতো। প্রতিনিয়ত আফতাবগঞ্জের এই ব্যতিক্রম মসজিদটি দেখতে দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেক ভ্রমণ পিয়াসুরা। আবার অনেকেই এসে নামাজ পড়ছেন এই মসজিদর। একজন দর্শনার্থী দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি জেলা সদর থেকে আসছি। অনেক দিন যাবৎ শুনে আছি, আফতাবগঞ্জে একটা আল্লাহর ঘর হচ্ছে অসাধারণ। তাই ঈদের আনন্দর পাশাপাশি দেখতে আসলাম মসজিদটি। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কয়েক জন দর্শনার্থী বলেন, আমরা স্বপ্নের দেখা স্বপ্নপুরীতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে এসেছি। পাশাপাশি এই তাজমহলের মতো দেখতে মসজিদে আসলাম। অসাধারণ দেখতে আল্লার ঘর। আমরা এই মসজিদে নামাজ পড়লাম, অনেক ভাল লাগল। আবারও সময় করে আল্লাহর ঘরটিতে নামাজ আদায় করতে আসবো। মসজিদটির পরিচ্ছন্নকর্মী রহমত আলী বলেন, আমি এই আল্লাহর ঘরের খেদমতে আছি। মসজিদের কাজ চলছে, নির্মাণ শেষ হতো আরও সময় লাগবে। আমি সব সময় মসজিদটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখি। কয়েক জন মসজিদ কর্মী বলেন, মসজিদের নির্মাণ শুরু থেকে আমরা এখানে কাজ করছি। আমরা মসজিদের কাজসহ মসজিদটি দেখাশোনা করে থাকি। ছয় থেকে সাত বছর ধরে মসজিদটির নির্মাণ কাজ চলছে। পুরো মসজিদ তৈরি হতে আরও সময় লাগবে। আফতাব পরিবারের সদস্য এবং মসজিদ নির্মাণকারী দিনাজপুর-৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী বলেন, আফতাবগঞ্জ মসজিদটি আফতাব পরিবারের ভালবাসা ফল। আমার বাপ-দাদারা আফতাবগঞ্জের হাট-বাজার, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা নিজেদের জমির উপর নিজেস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করে গেছেন। আজ আমরা এই পরিবারের পক্ষ থেকে আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদটি প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু করেছি। এই মসজিদটির নান্দনিকতার চলছে, মসজিদটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করতে আরও কিছু সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন, আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদে প্রায় চার হাজার মানুষ এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারবে। এছাড়াও আগামী ৫০ বছরের মধ্যে নামাজের জন্য আফতাবগঞ্জ এলাকায় আর নতুন করে মসজিদের প্রয়োজন হবে না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com