কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে হত্যা মামলায় ৮জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬মাসের কারাদন্ড দিয়েছে জেলা জজ আদালত। দীর্ঘ ১৮ বছর পর সোমবার (৯ মে) দুপুরে মামলার রায় প্রদান করেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান। দন্ডাদেশ প্রাপ্ত ৮ আসামীকে রায় শেষে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাচকোল বাজারের শিক্ষক মোখলেসুর রহমানের পূত্র মুদি ব্যবসায়ী নুরনবী(২২)কে তার দোকানে ১নং আসামী রাশেদসহ বাকীরা গলায় মাফলার পেঁচিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এর আগে শ্যালো মেশিনে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে আসামীদের সাথে নিহত নুরনবীর বাক-বিতন্ডা হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দিলেও আসামীরা তাতে সন্ত্মষ্ট ছিল না। এরই জেরে আসামী রাশেদ নুরনবীর সাথে বন্ধুত্ব করে তারই দোকানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার বিষয়টি মামলার রায়ে উদ্ধৃত করা হয়েছে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন, চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাচকোল এলাকার ঘেতু শেখের ছেলে রাশেদ(৪০), মকবুল হোসেন(৫৪) তসলিম উদ্দিন(৫৬), দারাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাদের(৪৩), মতিয়ার রহমানের ছেলে মিন্টু(৪১), মনির উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন(৪৪), সেকেন্দার আলীর ছেলে মোনাল মিয়া ওরফে মোন্নাফ(৪৪) এবং ওসমান মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া(৫০)। ছেলে হত্যার পর পিতা মোখলেসুর রহমান ৯জনকে আসামী করে ২৩ জানুয়ারি ২০০৪ সালে চিলমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানী ৪৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান ৮ আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট সামসুদ্দোহা রুবেল। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন। মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, এতে সত্য উন্মোচিত হয়েছে। আদালত যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল তাতে এমন অন্যায় কাজ করতে মানুষ অনেক বার ভাববে।