চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত সীতাকুণ্ড থানা। আবার চট্টগ্রাম জেলার সীতাকু- বার আউলিয়ার দেশ নামে রয়েছে ভিন্ন পরিচিতি। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি গুলিয়াখালী সী-বিচ। গুলিয়াখালী সী-বিচ নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মাধুর্যে প্রসারিত হয়ে প্রতিনিয়ত সাড়া ফেলছে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের। গুলিয়াখালী সী-বিচ লোনা-বালির বাতাসে শরীর ও মনের শিহরণ জাগিয়ে পর্যটকদের আলিঙ্গনে কাছে টানছে। সীতাকুণ্ড উপজেলাকে করেছে মর্যাদার আসনে অলংকিত। সীতাকুণ্ড সদর থেকে তিন কিলোমিটার পথ ধরে নামার বাজার রোড দিয়ে পশ্চিমে সমুদ্র তীরে বেঁড়িবাঁধ সংলগ্ন কেওড়া বাগানের পাশ ঘেঁষে গুলিয়াখালী সী-বিচের অবস্থান। কেওড়া বাগানের পাঁশ ঘেঁষে এক কিলোমিটার পথে পা ছোঁয়া মোড়ানো মাটির চেয়ার, মাটিও ঘাস বেষ্টিত চেয়ারগুলোতে বসলে মনে হয় যেন ফোমে জড়ানো ঘরে সাজানো প্রাকৃতিক সোফা। আবার ঘাঁস বেষ্টিত মাটিগুলো দুর দৃষ্টিতে তাকালে চোখের সামনে ভেসে উঠবে পাহাড়ের ছোট ছোট টিলার মতো মনোরম দৃশ্য। নানাবিদ সৌন্দর্যে আর মাধুর্যে সাজানো মনোমুগ্ধকর গুলিয়াখালী সী-বিচ দেশী-বিদেশী পর্যটকদের মায়ার জালে কাছে টানছে প্রতিনিয়ত। গতকাল পরিবারসহ সৈকতটি ঘুরে আসা ঢাকার টঙ্গি পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, ব্যবসায়িক কর্মব্যস্ততার মাঝে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় ও সুযোগ খুব একটা হয় না। ৪ বন্ধুর আগ্রহে সী-বিচে ঘুরতে এসে মনটা বদলে গেল। মুখে মাক্স ও নিরাপদ দুরত্বে হাটতে থাকা অসংখ্য পর্যটকের আগমনে মুখরিত গুলিয়াখালী সি-বীচ যেন করোনায় হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেয়েছে। পৌরসদরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাগর ভট্টাচার্য জানান, সীতাকুণ্ডে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের লিখনীর মাধ্যমে গুলিয়াখালী সি-বীচের উন্নয়ন ও সমস্যাবলি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নজরে আনতে হবে। কারণ গুলিয়াখালী সী-বিচ কারো ব্যক্তিগত নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সম্পদ। রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যবস্থাপনা, সু-রক্ষা কিংবা উন্নয়নে সরকারী উদ্যোগ একান্ত অপরিহার্য। স্থানীয় মেম্বার মোঃ এজাহার জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর গণ-মাধ্যমের প্রচারণায় গুলিয়াখালী সী-বিচে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, পরিবেশ কিংবা আবাসিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সরকারী সহযোগিতা একান্ত অপরিহার্য।