টানা ভারী বর্ষণে কমলগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢল নেমে কেওলার হাওরসহ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। কাটার বাকি থাকা প্রায় ৫শ’ হেক্টর বোরো ধান ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আরও পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। মৌসুমের শুরুতে সেচ সংকট, খরা, অনাবৃষ্টি, পোকার আক্রমণসহ নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেন কৃষকরা। সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার ও শনিবার দু’দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ কেওলার হাওর তলিয়ে গেছে। ঢল ও জলাবদ্ধতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫শ’ হেক্টর পাকা বোরো ধান তলিয়ে গেছে এবং আরও প্রায় ৫শ’ হেক্টর আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। আলীনগর, শমশেরনগর, রহিমপুর, মুন্সিবাজার ও পতনঊষার ইউনিয়নে বোরো ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিক নিয়ে কৃষকেরা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব এলাকার নিচু জমিতে আবাদী বোরো ধান তলিয়ে গেছে। উপজেলার পতনঊষারের কেওলার হাওর এলাকার ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে আশপাশ এলাকার কিছু ধান নিমজ্জিত ও আংশিক নিমজ্জিত রয়েছে। হাওর এলাকার দু’টি বাড়ি জলাবদ্ধতার কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কমলগঞ্জে ৪ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে কৃষকদের আগ্রহে এ বছর এর মধ্যে ২শ’ ১০ হেক্টর বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আগামী দু’চার দিনের মধ্যে কৃষকরা শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন। কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে বোরো ধানের কিছুটা এলাকা আংশিক নিমজ্জিত হলেও দ্রুত পানি নেমে যাচ্ছে। কৃষকরাও ধান কেটে ঘরে তুলে নিচ্ছেন। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে কোন সমস্যা হবে না বলে তিনি জানান।