শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::

বর্ষায় অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিলো হাকিমপুর স্বেচ্ছাসেবক দল

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২১ মে, ২০২২

কদিনের টানা বর্ষা ও বাতাসে তলিয়ে গেছে বোরো ধানের ক্ষেত। আবার দেখা দিয়েছে শ্রমিক সঙ্কট। অনেক কৃষকের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে এবং বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেছে। সেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এসব অসহায় কৃষকের ধান কাটা-মাড়াই করে দিতে মাঠে নেমেছে দিনাজপুরের হাকিমপুর থানা বিএনপির সকল অঙ্গ-সংগঠন। শনিবার (২১ মে) সকালে উপজেলার ১নং খট্রা-মাধবপাড়া ইউনিয়নের মাধবপাড়া গ্রামের অসহায় কৃষক হাইফুল ইসলামের দেড় বিঘা বোরো ধান কাটা-মাড়াই করে দিয়েছেন তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো ধানের। প্রায় জমির ধান বাতাসে মাটিতে নুয়ে পড়েছে। আবার ধান ক্ষেতগুলো বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেছে, প্রায় জমিতে হাটু পানি জমেছে। এসব ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। আবার দেখা দিয়েছে শ্রমিক সঙ্কট, এসব জমির ধান কাটা-মাড়াই করতে শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে বিঘাপ্রতি ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। মাধবপাড়া গ্রামের বোরো চাষি দেড় বিঘা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন। জোগার করতে পারেনি শ্রমিকের টাকা। অবশেষে তার জমির ধান কাটা-মাড়াই করে দিলো থানা বিএনপির সকল অঙ্গ-সংগঠন। ধান কাটা-মাড়াই অংশগ্রহণ করেন, হাকিমপুর থানা বিএনপি’র সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাখোয়াত হোসেন শিল্পী সহ দলটির অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কৃষক হাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ধান নিয়ে বড় বিপদে ছিলাম। আজ সকাল বিএনপির লোকজন এসে আমার দেড় বিঘা জমির ধান কেটে আবার বাড়িতে ঢোলায় করে এনে দিলো। শ্রমিক দিয়ে কাটা-মাড়াই করতে গেলে আমার অনেক টাকা লাগতো। আজ আমার অনেক উপকার হলো। হাকিমপুর থানা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, বর্তমান ঝড়-বৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আবার দেখা দিয়েছে শ্রমিক সঙ্কট এবং মুল্যও দিতে হচ্ছে বেশি। অনেক অসহায় কৃষক অর্থের কারণে নিজ জমির ধান কাটা-মাড়াই করতে পারছে না। আমরা এসব অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি। আজ এক কৃষকের দেড় বিঘা জমির ধান কেটে দিলাম। আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com