বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কিশোরগঞ্জে ভাসমান সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা চৌদ্দগ্রামে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ কালিয়ায় কন্যা শিশু দিবস পালিত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন তারাকান্দায় ১০ গ্রেডে উন্নীতের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি কালীগঞ্জে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মানববন্ধন : মিশ্র প্রতিক্রিয়া ডিমলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মিলন সম্পাদক পাভেল কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘর মানিকগঞ্জে সাড়ে ৪লাখ ছাগলের বিনামূল্যে টিকাদান কর্মসূচী শুরু আন্দোলনে নিহত নয়নকে বীরের মর্যাদা দেয়া হবে-দুলু

‘স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় তামাক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই’ 

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ মে, ২০২২

আজ আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস
আজ ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এ উপলক্ষে স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় তামাক নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে যারা অধিক তামাক ব্যবহার করে, তাদের একটি বাংলাদেশ। সুতরাং জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। তামাক কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার সময় এসেছে।’
গতকাল সোমবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মাদকদ্রব্য ও নেশানিরোধ সংস্থা (মানস) আয়োজিত বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২২ উপলক্ষে ‘তামাকমুক্ত পরিবেশ সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তামাক নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টিকারী আইনগুলো সংস্কারের দরকার জানিয়ে অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পুরনো যেসব আইন, নীতি, অধ্যাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণের সমস্যা সৃষ্টি করে, সেগুলো সংস্কারের মাধ্যমে যুগপোযোগী করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন/নীতিগুলোর রক্ষাকবচ খ্যাত এফসিটিসির আর্টিকেল ৫.৩ অনুসারে তামাক কোম্পানির প্রভাব বন্ধে গাইডলাইন প্রণয়নও জরুরি।’ সংবাদ সম্মেলন মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অধ্যাপক অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং সার্বিক উন্নয়নে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো ‘তামাক’। এ কথা সর্ব মহলে স্বীকৃত। তামাক চাষাবাদ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবনসহ প্রতিটি ধাপেই পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, ‘গ্লোবাল এডাল্ট টোবাকো সার্ভে ২০১৭ তে দেখা যায়, বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৩৫.৩ শতাংশ বা ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাকজাত দ্রব্য সেবন করে। ২০০৯ সালে তামাকসেবী ছিল ৪৩.৩ শতাংশ। সুতরাং তামাক সেবনের শতকরা হার নিম্নগামী হয়েছে, যা আশার কথা। পক্ষান্তরে, এমন কিছু অসামঞ্জস্যতা ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যা তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তামাক চাষে প্রচুর সার ও কীটনাশক ব্যবহৃত হয়, যা মাটি ও পানি দূষণ করে এবং মাছসহ জলাশয়ের উদ্ভিদ চক্রের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ১৯৭০ সাল থেকে তামাকের কারণে বিশ্বব্যাপী (গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে) আনুমানিক ১.৫ বিলিয়ন হেক্টর বন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যা ২০ শতাংশ বার্ষিক গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বিশ্বে বছরে ৩৫ লাখ হেক্টর জমি তামাক চাষে ধ্বংস হয়; যা বৈশ্বিক ৫ শতাংশ বনাঞ্চল ধ্বংসের জন্য দায়ী। প্রায় ৯০ শতাংশ তামাক উৎপাদন হয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশসমূহে।
তামাক নিয়ন্ত্রণে সুপারিশসমূহ: কৃষি জমি ও পরিবেশ সুরক্ষায় দ্রুত ‘তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি’ পাস করা। কৃষকদের তামাকের বিকল্প ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারি উদ্যোগ নেওয়া। তামাক পাতা রফতানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক পুনরায় আরোপ করাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বৃক্ষরোপণে জাতীয় পদকের জন্য তামাক কোম্পানিকে অযোগ্য ঘোষণা করা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে তামাক কোম্পানির ‘সিএসআর’ কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা। ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রণয়ন করা। বিএটিবি থেকে সরকারের ৯.৪৯ শতাংশ শেয়ার এবং কর্মকর্তা প্রত্যাহার করা। জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন আইন, নীতিতে তামাক কোম্পানির প্রভাব বন্ধে এফসিটিসি’র অনুচ্ছেদ ৫.৩ অনুসারে ‘গাইডলাইন’ প্রণয়ন করা। প্রধানমন্ত্রী’র তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ‘রোডম্যাপ’ চূড়ান্ত করা। মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক অরুপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পি ফেরদৌস ওয়াহিদ, এইড ফাউন্ডেশনের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর সাগুফতা সুলতানা প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com