চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভার অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (৩০ মে) বিকালে দশানী গ্রাম থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বেরীবাঁধ সড়ক হয়ে দশানী লঞ্চঘাট ও হানিরপাড় সড়ক পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে এলাকার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময় চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভার সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান তোলে মিছিলকারীরা। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক এসএম মনির, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আখতর হোসেন ,যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম শ্যামল, ইউপি সদস্য মাকসুদুর রহমান রানা, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল সরকার, সাইফুল ইসলাম সুমন, সাবেক ইউপি সদস্য টিপু সরকার, আওয়ামী লীগ লিটন ভুইয়া, যুবলীগ নেতা আরিফ ছৈয়াল, সফিকুল ইসলাম রিপন ছৈয়াল, আতাউর রহমান শিপন প্রমুখ। বিক্ষোভ মিছিলের পুর্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, সোবহান সরকার সুভা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়। কিন্তু দশানী গ্রামবাসী তাকে ভোট না দিয়ে নৌকায় ভোট দিয়েছে সন্দেহ করে মানুষের উপর অন্যায়, অত্যাচার, সন্ত্রাসী কর্মকা- ও এলাকায় অপকর্ম করে আসছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে চলেছে। সুভা চেয়ারম্যান হওয়ার পরে কয়েকটি মারামারি, গোলাগুলি ও জ্বালাও পোড়ায় ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি দশানী তথা কলাকান্দা ইউনিয়নে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেই চলেছে। বক্তারা আরও বলেন, গত ২৮ মে মেঘনা নদীতে সুভা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি ড্রেজারে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। তিন শ্রমিক মারাত্মক আহত এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে। শুধু তাই নয় স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সুমনের ঘর বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। সাইফুল ইসলাম সুমন সহ তার স্ত্রী সন্তান আহত হয়। প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। একজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে এমন ঘটনা অব্যাহত থাকায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছি আমরা ইউনিয়নবাসী। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও আইনগত প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু বিচার চাই। উল্লেখ্য, গত ২৮ মে হামলার ঘটনায় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সুমন বাদী হয়ে চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভাকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামা করে মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের করেন।