করোনায় বিধ্বস্ত ইতালির সীমান্ত দীর্ঘ তিন মাস লকডাউনের পর খুলেছে। ইউরোপের পর্যটনসমৃদ্ধ দেশটি দৃশ্যমান হচ্ছে সেই পুরনো চেহারা। যাত্রী সমাগমে হইচই পড়ে গেছে রোমের লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বিমানবন্দরে। খবর এএফপির।
বুধবার থেকে দেশটির আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সীমানা পুরোপুরি খুলে দেয়া হয়। কিন্তু একটিই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে– অন্য দেশগুলো কতটা গ্রহণ করবে ইতালীয়দের।
তবে এটি স্পষ্ট– করোনা সংক্রমণের জেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা পরিবারগুলো আবার এক হলেও ইতালির স্বাভাবিক জীবন ফিরতে অনেক দেরি।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিই প্রথম, যারা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দিল। পর্যটকদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়মও তুলে দিচ্ছে তারা।
ইতালিতে করোনার ভয়াবহ থাবায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন সাড়ে ৩৩ হাজার মানুষ। ইউরোপের অন্য দেশগুলো লকগাউন তুলে নেয়ার ব্যাপারে ১৫ জুনের পর সিদ্ধান্ত নেবে।
কেউ কেউ তারও অনেক পরে দেশের সীমানা খুলবে। এসব দেশের বক্তব্য– করোনা পরিস্থিতিতে ইতালির পর্যটনশিল্প একেবারে ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বেপরোয়া হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে পর্যটকদের বিষয়ে কয়েকটি জিনিস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেমন– কোন দেশের পাসপোর্ট রয়েছে, তিনি যে অঞ্চলে থাকেন সেখানে সংক্রমণ কেমন হয়েছে ইত্যাদি।
রোমের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বুধবার দেখা গেছে বহু পুনর্মিলনের দৃশ্য। কয়েক মাস পর প্রেমিকাকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন আন্দ্রে মন্টি।
ক্যাটরিনা শেরফ জার্মানির ডুসেলডর্ফে আটকে পড়েছিলেন। মন্টি বলেন, মহামারীর আগে দেখা হয়েছিল। তার পর আজ। তবে বিমানবন্দরে ভিড় তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। হাজারখানেক লোক যাতায়াত করেছেন। গত বছর এই দিনে সেখানে এক লাখ ১০ হাজারের কাছাকাছি যাত্রী-সমাগম হয়েছিল।
খপ/প্রিন্স