যার নামটি শুনলেই শরীয়তপুরের লাখো মানুষ তার ভালোবাসায় আবেগি-উৎফুল্ল হয়ে চোখে আনে জল। বলছি শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ইকবাল হোসেন অপু এমপির কথা। ২২১ সাংসদীয় শরীয়তপুর-১ আসনটি দু উপজেলা (পালং ও জাজিরা) নিয়ে গঠিত। এই দুই উপজেলার বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন ও সাধারণ অসহায়, গরীব মানুষের মুখে হাসি ফুঁটাতে নিজের জীবণ বাজি রেখে দিনরাত এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় ছুটে বেড়ান শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ। রাতের অধারে তিনি এই দুই উপজেলার গরীব, অসহায়, কর্মহীন, শ্রমজীবি, ইমাম মুয়াজ্জিনসহ দলীয় অসচ্ছল নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সুখ দুঃখের সঙ্গী হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করে থাকেন। দলমত নির্বিশেষে শরীয়তপুরের যে কেউ তার কাছে গেলে সাহায্য সহযোগিতা না পেয়ে ফিরে না। তার আদর্শ ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে এ জেলার মানুষ তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা বলে আখ্যায়িত করেছেন। মানবতার এক অনন্য উদাহরণ শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু এমপি। তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের রংখোলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের সন্তান। ছোট বেলা থেকেই, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পিতা এ্যাডভোকেট হাজী সুলতান হোসেন মিয়ার হাত ধরেই ছাত্রাবস্থায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এমপি ইকবাল হোসেন অপু। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার। তার শৈশব কেটেছে নিজ গ্রামে। লেখাপড়া তিনি যেমন ছিলেন মেধাবী, তেমনি দুরন্তপনায় মাতিয়েছেন পুড়ো গ্রাম। ৮০ এর দশকে রাজপথের ছাত্রলীগের সাহসী সৈনিক। সাবেক সভাপতি, মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগ। সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সাবেক সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় উপ কমিটি অর্জন করেছেন খ্যাতি ও সুনাম। বাংলাদেশ মহান জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ইকবাল হোসেন অপু বলেন, আমি সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে দুর্নীতিমুক্ত থেকে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি। ভবিষ্যতেও আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মানুষের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যেতে চাই।তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেছি, দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি পালং-জাজিরাসহ এ জেলার গরিব, দুস্থ, অসহায় নির্যাতিত, নিষ্পেসিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ্?।